বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি,ক্যানিং – প্রবল বর্ষনের কারণে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দশটি ব্লক এবং দুটি পৌরসভা প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই ক্ষতির পরিমাণ কত তা পরিমাপ করার কাজ চলছে। বুধবার দুপুরের পরে বৃষ্টি কমায় বিভিন্ন জায়গায় জল নামতে শুরু করেছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ৪৬ হাজার ৩৪৪ হেক্টর আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। আর এর ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে প্রায় দু লক্ষ কৃষক।। অন্যদিকে ১৫৯৩ হেক্টর সবজি চাষ ক্ষতি হয়েছে।চার লক্ষ মেট্রিক টন মাছের ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের হিসাব মতো সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হয়েছে নামখানা ,মৌসুনি আইল্যান্ড, নান্দাভাঙ্গা কাকদ্বীপের শ্রী রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দ, সোনারপুরের কালিকাপুর, নাটাগাছি ভাঙ্গড়ের ব্যাওতা ১, বারুইপুরের মল্লিকপুর ও সাউথ গড়িয়া এবং বারুইপুর পৌরসভার ২,১৩ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড, রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার মিশন পল্লী, মিলন পল্লী, বৈকন্ঠপুর, নিশ্চিন্তপুর।

ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের দেউলী ১ ও ২ সারেঙ্গাবাদ।প্রশাসনের হিসাবমতো ৯৬ টি মাটির বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। ৫৫৬ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৬১ কিচেন সেন্টার থেকে রান্না করা খাবার দেওয়া় হচ্ছে।

সব জায়গাতেই সুইচ গেট খুলে বৃষ্টির জমা জল বের করার চেষ্টা চলে। অধিক বৃষ্টিতে জলমগ্ন ডায়মন্ডহারবার, মহেশতলা, বজবজ পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড। জমা জল সরাতে ডায়মন্ডহারবার পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বুধবার সকাল থেকেই পুরসভা, এনডিআরএফ এবং কুইক রেসপন্স টিম সম্মিলিতভাবে নিকাশি নালা পরিষ্কারের কাজে হাত লাগায়।

এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন ডায়মন্ডহারবারে জানান, মোট ১১৫ টি সাইক্লোন শেল্টার ও ২০০ টি স্কুলবাড়ি ও পঞ্চায়েত অফিসে বিপজ্জনক এলাকার বাসিন্দাদের রাখা হয়েছে। তাদের দুবেলা রান্না করা খাবার ছাড়াও শুকনো খাবার এবং বেবি ফুড সরবরাহ করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় চালু করা হয়েছে মেডিকেল ক্যাম্প।

ছড়ানো হচ্ছে ব্লিচিং পাউডার। জলবন্দি পঞ্চায়েত ও পুর এলাকাগুলিতে পাঠানো হয়েছে জলের বোতল এবং জলের পাউচ প্যাক। বিলি করা হয়েছে ত্রিপল। লট নম্বর ৮, গঙ্গাসাগর, বকখালি, ডায়মন্ডহারবার, গোসাবা এবং ক্যানিংয়ে  ক্যামেরা বসিয়ে কন্ট্রোল রুম গুলির মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।