বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গ্রামে গিয়ে সচেতনতার বার্তা দিয়ে পুলিশ দিবস উৎযাপন করলেন ক্যানিং মহিলা থানা

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ২, ২০২১
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি, ক্যানিং -রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের ন্যায় বুধবার সকালে ক্যানিং থানার প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে এলাকার কচিকাঁচা ও মহিলাদের নিয়ে পুলিশ দিবস পালন করলেন ক্যানিং মহিলা থানার পুলিশ কর্মীরা।

এদিন পুলিশ দিবসে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং মহিলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারীক তনুশ্রী মন্ডল।অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্পিতা দাস,সোনিয়া দেওয়ান সরদার,তন্ময় মন্ডল, চন্দন মন্ডল সহ অন্যান্যরা।এদিন সকালে ক্যানিং মহিলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারী তনুশ্রী মন্ডলের নেতৃত্ব মহিলা পুলিশ কর্মীরা মাস্ক,স্যানিটাইজার, সাবান,সেম্পু,কেক নিয়ে পৌছে যায় ক্যানিংয়ের প্রত্যন্ত পরাণীখেকো গ্রামে। সেখানে পুলিশ গাড়ি থেকে পুলিশ কর্মী নামতেই এলাকার গৃহবধু,মহিলা ও শিশুরা ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় যে যার ঘরের মধ্যে। পুলিশ কর্মীরা তাদের কে একত্রিত করেন। পুলিশ কে দেখে ভয় না পাওয়ার জন্য অভয়বার্তা দেন। পাশাপাশি এলাকার মহিলা,গৃহবধুদের কে নারীপাচার,বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম,নারীদের প্রতি অন্যায় অত্যাচার সম্পর্কে বিশেষ ভাবে সচেতন করে তোলেন। এছাড়াও কোন সমস্যা এবং প্রয়োজন মহিলারা যাতে করে থানায় যেতে পারে সেই বার্তাও দেওয়া হয় প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলাদের।সচেতনতা বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি করোনা নিয়েও সতর্ক করেন মহিলা পুলিশ কর্মীরা। এরপর গ্রামের মহিলাদের হাতে মাস্ক,স্যানিটাইজার,সাবান,সেম্পু ও মিষ্টি তুলে দেওয়া হয় পুলিশের উদ্যোগে।

পুলিশের এমন উদ্যোগ কে কুর্ণিশ জানিয়েছেন এলাকার গৃহবধু তারারানি মন্ডল,সুলতা মন্ডল,দিপালী নস্কর’রা।

তাদের দাবী পুলিশ কে দেখে আগে ভয় পেতাম। কোন কিছু বলার সাহস দেখাতে পারতম না। মহিলা পুলিশরা আজ আমাদের গ্রামে এসে যেভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতেন তা কোনদিন কল্পনাতে ধারণা ছিল না। তারপর তাঁরা যেভাবে সচেতনতার বার্তা দিলেন তা সত্যিই খুব প্রশংসনীয়। পুলিশ যে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সুখ দুঃখের সাথী হয়ে কাজ করে তা আজ পুলিশের এমন অনবদ্য ভূমিকা দেখে জানতে পারলাম।মহিলা পুলিশদের কে অসংখ্য ধন্যবাদ।’

ক্যানিং মহিলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারীক তনুশ্রী মন্ডল জানিয়েছেন ‘ক্যানিং সহ জেলায় বিভিন্ন ধরনে অসামাজিক কাজকর্ম বেড়ে চলেছে। বেড়েছে নারীদের প্রতি অত্যাচারের মাত্রাও। সেই পরিস্থিতি থেকে সমাজকে সুস্থ করে তোলা এবং জনসংযোগ ও সাধারণ মানুষের সাথে গাঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য পুলিশ দিবসে এমন সচেতনতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।আগামী দিনেও এমন সচেতনতার উদ্যোগ প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে ধারাবাহিক ভাবে চলবে।’

উল্লেখ্য নারী দিবস,শিক্ষক দিবস,সহ অন্যান্য দিবস পালিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ।পুলিশদের কোন কিছুই ছিল না।অথচ এই সমস্ত পুলিশ কর্মীরাই বিভিন্ন ভাবে রাজ্য তথা দেশ কে সুরক্ষিত রাখার কাজ করে চলেছেন। তাঁদের অক্লান্ত দক্ষতা ও পরিশ্রমের প্রতি দেশের মধ্যে সর্ব প্রথম পুলিশ কে সম্মান জানিয়ে ২০২০ সালে পুলিশ দিবসের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেই থেকেই ধারাবাহিক ভাবেই ১ সেপ্টেম্বর দিনটি পুলিশ দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে।