শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সহ্যসীমা

News Sundarban.com :
আগস্ট ১, ২০২১
news-image

সহ্যসীমা (নেপালি কবিতা)

-কবি জয় ক্যাকটস্, কালিম্পঙ
অনুবাদ: বিলোক শর্মা, ডুয়ার্স

আজ আবার আমার মানস গুরু দ্রোণ
বুড়ো আঙুল চাইতে এসেছিলেন
শুধু আঙুল কেন, হাতই কেটে দিয়ে দিলাম।

আসলে আমি কখনো কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিইনি
দিব্যি খেয়ে বলছি কাউকে না বলিইনি।

কখনও মানস কুন্তি মায়েরা আসেন
আর আমার রক্ষাকবচ ও কুন্ডলগুলো চেয়ে বসেন
অর্জুনের জীবনদানের পরিবর্তে আমার মৃত্যু চেয়ে বসেন।

কলিযুগের মহাভারতে ভীষ্ম পিতামহ বাণশয্যাতেই রয়েছেন
জলের খোঁজে বেরোনো অর্জুন এখনো বেপাত্তা
আর ধর্মযুদ্ধ সময়ের পজ্ বোতামে স্হির হয়ে আছে।

জলের অভাবে দ্রোপদীর চুলের রক্ত
আমরা সেখান থেকে চেটে চলেছি অহিংসার জিহ্বা দিয়ে
ততটাই ভিজে যাচ্ছে আমাদের ঘর-অঙ্গন রক্তের নদীধারায়।

ইতিহাসের বন্ধ দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছে
১৯৫০-এর ঘটোৎকচ মেটাল ডিটেক্টার নিয়ে
আমি প্রতীক্ষা করছি আমার আত্মহত্যার দিন
১০ -ই মার্চের অশ্বত্থামা হাতে বন্দুক নিয়ে
তবে আমি দিয়েছি আমার শির কাঞ্চনজঙ্ঘা।

আসলে আমি কাউকেই হবে না বলিনি
শপথ করে বলছি আমি নিজের স্বপ্নকেও ধ্বংস করিনি।

পরিচিতি:

জয় ‘ক্যাক্টাস’: কবি জয় গুরুঙ (সাহিত্যিক নাম জয় ‘ক্যাক্টাস’) ভারতীয় নেপালি সাহিত্যে কবি ও আলোচক হিসেবে সুপরিচিত। কবির এখন পর্যন্ত তিনটি কাব্যকৃতি-‘যুগ কবিতা র মান্ছে’ (১৯৯১), ‘বিশ্বাসকো ঘর’ (2002), ‘শব্দযাত্রা’ (20১৭), একটি আলোচনা পুস্তক ‘মহাকাব্য কর্মায়ন-এক অধ্যয়ন’ (200৮) ও দু’টি জীবনী-মোনোগ্রাফ প্রকাশিত রয়েছে। কবি বিভিন্ন সাহিত্যিক পুরস্কার, যেমন-‘কবি ভক্ত রাই স্মৃতি পুরস্কার’, ‘দুলিচন্দ অগ্রওয়াল স্মৃতি পুরস্কার’, ‘পার্বতি গুরুঙ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার’, ‘ভাইচন্দ স্মৃতি পুরস্কার’-দ্বারা পুরস্কৃত হয়েছেন।

বিলোক শর্মা: বিলোক শর্মা ভারতীয় নেপালি সাহিত্যে কবি ও অনুবাদক হিসেবে পরিচিত। মাদারীহাট, ডুয়ার্সের বাসিন্দা কবি শর্মা শিক্ষায় বোটানীতে পোষ্ট-গ্র্য়াজুয়েট এবং বর্তমানে লুধিয়ানায় কৃষি-আধিকারিক। একটি নেপালি কাব্যকৃতি ‘সময়াভাস’ প্রকাশিত রয়েছে। কবিতা লেখালেখির পাশাপাশি নিয়মিত নির্বাচিত নেপালি কবিতার বাংলায় অনুবাদ ও প্রকাশনা করেন। এছাড়া, এখন অবধি চারটি পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন।