শনিবার, ২৩শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পশ্চিমবঙ্গে এখনই লকডাউন দেওয়ার কথা ভাবছেন না মুখ্যমন্ত্রী

News Sundarban.com :
এপ্রিল ১৯, ২০২১
news-image

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়লেও এখনই লকডাউন দেওয়ার কথা ভাবছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা রোগীদের চিকিৎসার সুযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি ঘরে বসে কাজের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

এ ছাড়া গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে এনে মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের সব বিদ্যালয় বন্ধ করা হচ্ছে।

সোমবার দুপুরে মালদহে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে করোনা সংক্রমণ সামাল দিতে পদক্ষেপ তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘লকডাউনই কি করোনা নিয়ন্ত্রণ করবে? আমরা এখনই লকডাউন দিচ্ছি না। লকডাউন সমাধানের পথ নয়। রাজ্যে পর্যাপ্ত টিকা নেই। ‘

‘ওয়ার্ক ফ্রম হোমে’ গুরুত্ব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি সব অফিসে কর্মীসংখ্যা ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা হচ্ছে।

করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে রাজ্যবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। সরকার এই করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সরকারি হাসপাতালে সাড়ে ৪ হাজার করোনা বেড বাড়ানো হয়েছে। ২০০ সেফ হোমে ১১ হাজার করোনা বেড প্রস্তুত রাখা রয়েছে।’
করোনার হালকা উপসর্গ দেখা দিলে তাঁকে সেফ হোমে আর গুরুতর রোগীদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

রোববার রাতে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বিগত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৪১৯ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত এবং ২৮ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। তার আগের দিন শনাক্ত হয় ৭ হাজার ৭১৩ জনের, আর প্রাণ হারান ৩৪ জন। পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯২৭ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, আর মোট মারা গেছেন ১০ হাজার ৫৬৮ জন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারি ১০০টি এবং বেসরকারি ৫৮টি হাসপাতালকে নতুন করে করোনা হাসপাতালে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া রাজ্যে বিভিন্ন হোটেলকে সেফ হোম হিসেবে করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। রাজ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যবহারের জন্য ৪০০ অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে।