বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তিন তরুণের ওপর আস্থা রাখছেন কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু

News Sundarban.com :
এপ্রিল ৩, ২০২১
news-image

সেই ২০০৮ সাল থেকে আইপিএল চলছে। ১৩ মৌসুম কেটে গেল, কত উত্থান-পতন দেখল বিশ্বের অন্যতম সেরা এই টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। কিন্তু একটি জিনিসের কোনো ব্যতিক্রম নেই। বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এখনো একবারের জন্যও শিরোপার স্বাদ পায়নি।

প্রতিবছর নতুন উদ্যমে দল বানায় তারা, মৌসুম শেষে ফলাফল সেই একই। শূন্য ঝুড়ি। এবারও আগের ব্যর্থতা ঝেড়েমুছে ফেলার প্রত্যয় নিয়ে দল বানিয়েছে বেঙ্গালুরু। আশা করছে, এবার হয়তো বিরাট কোহলির হাতে আইপিএলের ট্রফি শোভা পাবে। কিন্তু সেটার জন্য দরকার একটা কার্যকরী দল। যে দলে তারকাদের পাশাপাশি নতুনরাও নিজেদের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করতে পারবেন। পাদপ্রদীপের আলোয় চলে আসবেন।

এবার অমনই প্রতিভাবান তিন তরুণের ওপর আস্থা রাখছেন কোহলিরা, যাঁরা সুযোগ পাওয়ামাত্রই তাক লাগিয়ে দিতে পারেন। এমন কথাই জানিয়েছেন দলটির ডিরেক্টর অব ক্রিকেট অপারেশনস, নিউজিল্যান্ডের সাবেক কোচ মাইক হেসন।

হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হেসন জানান, কোহলিরা বড় আশা করে তাকিয়ে আছেন দলের তরুণ তিন সৈনিক—রজত পতিদার, মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন ও সুযশ প্রভুদেশাইয়ের দিকে। তিন খেলোয়াড়কেই এবার নিজ নিজ ভিত্তিমূল্যে কিনেছে বেঙ্গালুরু।

এবারই প্রথম আইপিএলে খেলবেন রজত পতিদার।

হেসনের তালিকায় শুরুতেই আছে পতিদারের নাম। ঘরোয়া ক্রিকেটে মধ্যপ্রদেশের হয়ে রানের ফোয়ারা ছোটাচ্ছেন এই ব্যাটসম্যান। তাঁর ব্যাটিংয়ের সঠিক টেকনিকই মুগ্ধ করেছে হেসনকে, ‘এটা রজতের প্রথম আইপিএল। ওর বয়স ২৭, দেশের প্রথম শ্রেণির অবস্থা বোঝে বেশ ভালোভাবে। ও দুর্দান্ত একজন ব্যাটসম্যান। সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফি ও বিজয় হাজারে ট্রফি, দুই টুর্নামেন্টেই অসাধারণ খেলেছে। ওকে আমরা দুবছর ধরে দেখছি। ও দেখতে ছোটখাটো হলেও অনেক শক্তিশালী। পেস বা স্পিন, দুই ধরনের বোলিংয়ের বিপক্ষেই সে রান তুলতে পারে। আমাদের অনুশীলনেও সে ওর মান দেখিয়ে যাচ্ছে।’

কিছুদিন আগেই ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে আলোচনায় এসেছেন মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন। কোহলিরা দলে নিয়েছেন তাঁকেও।

‘ও এমন একজন খেলোয়াড়, যে সহজেই সতীর্থদের ওপর থেকে চাপ সরিয়ে নিতে পারে। দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান হওয়ার পাশাপাশি ও বেশ ভালো একজন উইকেটকিপারও। এবি ডি ভিলিয়ার্সের পাশাপাশি ও আমাদের বেশ ভালো সাহায্য করতে পারবে এ ক্ষেত্রে’— হেসনের ভাষ্য।

ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে আলোচনায় এসেছেন মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন।

ওদিকে প্রভুদেশাইয়ের ‘ফিনিশ’ করার ক্ষমতা চোখে লেগেছে এই কিউই কোচের, ‘ওর হাতে প্রচুর শট আছে। মাঠের যেকোনো প্রান্তে বল মারতে পারবে ও। রজতের মতো প্রভুদেশাইয়ও দেখতে ছোটখাটো, কিন্তু ওর গায়ের জোর অনেক। দুর্দান্ত একজন অ্যাথলেট সে। ফিল্ডিংয়েও উন্নতি করছে অনেক।’

এখন দেখা যাক, এই তিনজন কোহলির হাতে অধরা শিরোপাটা এনে দিতে পারেন কি না!