শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মার মধ্যে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়েছেন রবি শাস্ত্রী

News Sundarban.com :
মার্চ ৩১, ২০২১
news-image

ভারতীয় ক্রিকেট দলকে বাইরে থেকে ‘সুখী পরিবার’ মনে হলেও গুঞ্জনটা ডালপালা মেলেছিল আগেই। দলের দুই সেরা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মার মধ্যে দ্বন্দ্বের খবরটা গোপন রাখা যায়নি। এ দুজনের মানসিক দ্বন্দ্ব সমস্যা তৈরি করছিল। ড্রেসিংরুমের পরিবেশে সেটি প্রভাব রাখছিল ভালোই। নিজেদের দূরত্বটা নাকি ক্রমে এতটাই বাড়ছিল, যে তাদের মধ্যে কথাবার্তাও প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। টাইমস অব ইন্ডিয়া অবশ্য একটা সুখবরই দিয়েছে। সম্প্রতি এ দুজনের দ্বন্দ্ব মেটাতে নাকি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন কোচ রবি শাস্ত্রী।

কোহলি আর রোহিতের দ্বন্দ্বটা একটু অদ্ভুত। মাঠের লড়াইয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই লড়াই করেন তাঁরা। কিন্তু মাঠ থেকে বেরিয়ে গেলেই দুজন দুই মেরুর। ব্যাপারটা অস্বস্তি তৈরি করছিল। ২০১৯ সালে দুজনের বাজে সম্পর্কের ব্যাপারটা প্রকাশ্যে এলে নড়েচড়ে বসে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। গণমাধ্যমকে এড়িয়ে গোপনে এর তদন্ত হয়। দুজনকেই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলার আহ্বান জানানো হয়। তবে সাধারণের কাছে ব্যাপারটা আর গোপন থাকেনি দুজনের কিছু আচরণে। রোহিত একপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোহলিকে ‘আনফলো’ করে দিয়েছিলেন। সম্পর্ক খারাপ না হলে সাধারণত কেউ এ কাজ করবে না। দলে হুটহাট রোহিতের না থাকা, চোটে আক্রান্ত বলে রোহিতকে নেওয়া হয়নি—এমন খবর প্রকাশ হওয়ার পর রোহিতের অনুশীলন করার ভিডিও ভাইরাল হওয়া, কোহলিকে সমালোচনা করা টুইটে রোহিতের ‘লাইক’ দেওয়া—এমন ছোটখাটো অনেক জিনিস দেখেই মানুষ দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নিয়েছিল।

দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্বে আগুনটা আরেকটু উসকে দিয়েছিল অধিনায়ক হিসেবে আইপিএলে রোহিতের ক্রমাগত সাফল্য আর কোহলির একের পর এক ব্যর্থতা। কোহলিকে সরিয়ে রোহিতকে জাতীয় দলের দায়িত্ব দেওয়া যায় কি না, সে নিয়েও মোটামুটি সমর্থকেরা দ্বিধাবিভক্ত।

তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন প্রাণ খুলে। সঙ্গে ছিলেন রবি শাস্ত্রী

দ্বন্দ্বের এই ব্যাপার আরও বাড়ার আগেই নড়েচড়ে বসেছে বিসিসিআই। বোর্ড থেকেই নেওয়া উদ্যোগটা অবশেষে সফলতার মুখ দেখেছে। কোচ রবি শাস্ত্রী দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে দ্বন্দ্বের আপাত অবসান ঘটিয়েছেন। আর এটি নাকি হয়েছে চলতে থাকা ইংল্যান্ড সিরিজের মধ্যেই।

 

রোহিত-কোহলির মধ্যে ইদানীং কথাবার্তা হচ্ছে। তাঁরা শাস্ত্রীর সামনে যে মন-প্রাণ খুলে কথা বলতে পেরেছেন, সেটিতে কাজ হয়েছে। সম্প্রতি একসঙ্গে সেলফি তোলা, আড্ডা মারা—অনেক কিছুই তাঁরা করেছেন। পরিবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্যের ঝামেলা মিটে গেছে। ভারতীয় ক্রিকেট দল এখন আসলেই সুখী পরিবার। রবি শাস্ত্রী যে কোচ হিসেবে আসলেই উঁচুমানের, সেটাও যেন প্রমাণ হয়ে গেল এই ঘটনার মাধ্যমে।