১৫৬ রানের পুঁজিতে ‘নিউক্লিয়াস’, ৪৬ বলে ৭৭ রানের মনোমুগ্ধকর অপরাজিত ইনিংস, তাও জিততে পারলেন না কোহলি

বাটলারের এই ইনিংসে ভর করেই ১০ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জিতেছে ইংল্যান্ড। এর মধ্য দিয়ে পাঁচ ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজে ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। কোহলির সতীর্থদের বাজে ব্যাটিং আক্ষেপ হয়ে থাকবে ভারতের সমর্থকদের।
কোহলি ছাড়া বাকিদের কেউ ২৫ রানের বেশি করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ বলে ২৫ রান এসেছে ঋষভ পন্তের ব্যাট থেকে। বাকিরা আরেকটু দাঁড়াতে পারলে ভারতের সংগ্রহটা আরও বড় হতে পারত।
৪ ছক্বা ও ৮ চারে ইনিংসটি সাজান কোহলি। পঞ্চম ওভারে দলীয় ২০ রানে ভারত ২ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসেন তিনি।
উইকেটের চারপাশে শট খেলার পাশাপাশি ইনিংসটি তিনি কীভাবে সাজিয়েছেন, তা খানিকটা ঠাহর করা যায় এ পরিসংখ্যানে—প্রথম ১৫ বলে তাঁর স্ট্রাইক রেট ৯৩.৩৩। পরের ১৫ বলে ১২০ এবং শেষ ১৬ বলে ২৮১.২৫!
অর্থাৎ সময় গড়ানোর সঙ্গে আরও খোলতাই হয়েছে কোহলির ব্যাট। টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তাঁর ২৭তম ফিফটি, যেখানে এ নিয়ে ১৮তমবার কোহলি ফিফটি পেলেও তাঁর বাকি সতীর্থদের কেউ ফিফটির দেখা পাননি। দলীয় ইনিংস তিনি শেষ পর্যন্ত টানায় ভারত দেড় শ রানের কোটা টপকে যেতে পেরেছে।

তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জেসন রয় ও বাটলারের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। ভুবনেশ্বর কুমারের সুইংয়ে শুরুতে খাবি খেয়েছেন দুজন। যুজবেন্দ্র চাহালকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দেন রয় (৯)। তিনে নেমে ১৮ রান করা ম্যালানকে তুলে নেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
তৃতীয় উইকেটে জনি বেয়ারস্টো ও বাটলারের ৫২ বলে অপরাজিত ৭৭ রানের জুটিতে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। ৫ চারে ২৮ বলে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন বাটলার। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন মার্ক উড।