মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘ভয় পাবেন না, নির্ভয়ে বিজেপিকে ভোট দিন’: মোদী

News Sundarban.com :
মার্চ ৭, ২০২১
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক: আজ বাংলায় পদ্ম ফুটছে কারণ আপনার দল পাঁক ছড়িয়েছে। দিদিকে আমি বহু বছর ধরে চিনি। দিদি এখন সেই দিদি নেই যে বামপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, এখন দিদির রিমোর্ট কন্ট্রোল অন্য কারও হাতে রয়েছে। বিজেপির লোকদের বহিরাগত বলছে। কংগ্রেস যাঁরা তৈরি করেছিল তাঁরা বহিরাগত ছিল না। মমতাকে কটাক্ষ করে মোদি বলেছেন, রাগের মাথায় আমায় কখনও রাবণ, দানব, দৈত্য, গুণ্ডা বলছেন। দিদি এত রাগ কেন? ‘কথায় কথায় গালাগাল, এত রাগ কেন দিদি?’
মোদি বলেছেন, ‘ভয় পাবেন না, নির্ভয়ে বিজেপিকে ভোট দিন। কুশাসনের বিরুদ্ধে ভোট দিন। বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে ভোট দিন।

দেশের মতো বাংলার উন্নয়নের জন্য আগামী ২৫ বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরের ৫ বছর তার ভিত্তি তৈরি করবে। শুধু বাংলার উন্নয়নের জন্য ভোট নয়, দেশ গঠনের জন্য ভোট দিন। পদ্মে বাংলার মাটির সুবাস রয়েছে। তাই বলা হয়েছিল, লোকসভায় টিএমসি হাফ, এবার পুরো সাফ। লোকসভা ভোটে মন্ত্র ছিল চুপচাপ পদ্মে ছাপ। এবার জোরছে ছাপ, টিএমসি সাফ।
‘বাংলার সরকার আটকে দিচ্ছে, কিন্তু কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে চাই। আয়ুষ্মান ভারতের মাধ্যমে বাংলার মানুষের সেবা করতে চাই। ‘এবার বলুন, বন্ধুত্ব চান, না তোলাবাজি। আমার বন্ধুত্বে ভয় পেয়ে বলতে শুরু করেছেন খেলা হবে। ‘সত্যিই আপনারা অনেক বড় খেলোয়াড়। বাংলার মানুষকে লুঠ করেছেন। মানুষের জীবন নিয়ে আপনারা খেলা করেছেন’।

মোদির অভিযোগ, মাটির নামে এখন বাংলায় সিন্ডিকেট চলছে। তিনি বলেছেন, বাংলা এখন এক স্বরে বলছে ‘আর নয় অন্যায়’। দিদি শুনতে পাচ্ছেন, এটা বাংলার আওয়াজ। বাংলার মানুষ একটাই প্রশ্ন করছে, তাঁরা আপনাকে দিদির ভূমিকায় দেখতে চেয়েছিল।কিন্তু আপনি নিজেকে একজন ভাইপোর পিসি হয়ে কেন থাকলেন?বাংলার লক্ষ লক্ষ ভাইপো-ভাইঝির আশাপূরণ না করে নিজের ভাইপোর শুধু উন্নতি কেন করলেন? কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রের পথেই আপনি কেন হাঁটলেন।
কয়েকদিন আগে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ই- স্কুটারে চড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মোদি বলেছেন,   কিছুদিন আগে আপনি স্কুটি চালাচ্ছিলেন। ভাল হয়েছে আপনি পড়ে যাননি, তাহলে যে রাজ্যে স্কুটি তৈরি হয়েছে সেই রাজ্যকেই শত্রু ভেবে বসতেন। কিন্তু আপনার স্কুটি ভবানীপুরের বদলে নন্দীগ্রামের দিকে ঘুরে গেল। কিন্তু স্কুটি নন্দীগ্রামে পড়ে গেলে আমি কী করব!
স্বাধীনতার পর কংগ্রেস ক্ষমতায় এসে কিছুটা কাজ করেছিল।তারপর ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি শুরু হয়।এরপর বামপন্থীরা এসে বলেছিল কংগ্রেসের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও। এই বামপন্থীরাই বাংলায় ৩৪ বছর শাসন করেছে। সেই কালো হাত আজ সাদা হল কী করে!যে হাতকে ভাঙতে চেয়েছিল, সেই হাতের আশীর্বাদ নিতে হচ্ছে! বামদের বিরুদ্ধে মমতা লড়াই করে মা-মাটি মানুষের স্লোগান তুলেছিলেন।কিন্তু বাংলার সাধারণ মানুষের কি কোনও পরিবর্তন হয়েছে?  কৃষক, শ্রমিকের জীবনে কোনও পরিবর্তন এসেছে?গরিব মানুষকে আরও গরিব করা হয়েছে। খুনের রাজনীতির কি কোনও পরিবর্তন হয়েছে? বাংলায় মা-মাটি-মানুষের কী অবস্থা আপনারা জানেন। ঘরে ঢুকে মায়েদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে তা দেশ দেখছে। ৮০ বছরের মায়ের উপর যে অত্যাচার হয়েছে তা দেশ দেখেছে। গত ১০ বছরে বাংলার প্রত্যেক মা চোখের জল ফেলেছেন।

রাষ্ট্রীয় শিক্ষা নীতি বাংলায় প্রণয়ন করা হবে।  ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি বাংলা ভাষায় পড়ানো হবে। প্রান্তিক পড়ুয়ারা ইংরেজি না জানলেও ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি পড়তে পারবে। বাংলার মানুষের মনে রাখা উচিত বারবার তাদের সঙ্গে ছলনা করা হয়েছে।স্বাধীনতার পর কংগ্রেস ক্ষমতায় এসে কিছুটা কাজ করেছিল। তারপর ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি শুরু হয়। বিজেপির সরকার তৈরির পর ঝুপড়িবাসীদের পাকা বাড়ি দেওয়া হবে। অন্যান্য শহরেরও আত্মনির্ভর ভারত গঠনের সম্ভাবনা আছে। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে যুব সমাজ থেকে বয়স্কদের জন্যও প্রকল্প। আসল পরিবর্তনের জন্য পঞ্চায়েত স্তরেও উন্নয়ন প্রয়োজন।বাংলায় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা শেষ করা দেওয়া হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এসে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা পুনরায় গড়ে তোলা হবে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আগে বাংলার মা-মেয়েদের প্রণাম। বাংলায় আজও জলকষ্ট, কেন্দ্রের জল জীবন মিশন প্রয়োজন। আজও বাংলায় দেড় কোটি মানুষের ঘরে জল পৌঁছয় না। গরিবদের নিয়েও রাজনীতি করতে হবে! কিন্তু আফশোস তৃণমূল সরকার গরিবদের নিয়েও রাজনীতি করে। কেন্দ্রের টাকা আজ পর্যন্ত খরচ করতে পারেনি তৃণমূল সরকার। দিদি ঠিক করে নিয়েছেন, কাজ করবও না, করতেও দেব না। আমরা যা বলি তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করি। বিরোধী বলেন, আমি নাকি বন্ধুদের জন্য শুধু কাজ করি।‘আমার বন্ধু গরিব মানুষ, আমি তাঁদের জন্য কাজ করি। করোনার সময় গরিব বন্ধুদের রেশন দিয়েছি, গ্যাস সিলিন্ডার দিয়েছি। করোনার ভ্যাকসিন সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে করে দিয়েছি। ঝুপড়িতে জন্ম নেওয়া শিশুও আমার বন্ধু। বাংলায় আমার এই বন্ধুদের জন্য আরও কাজ করব।
‘বাংলার সরকার আটকে দিচ্ছে, কিন্তু কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে চাই। আয়ুষ্মান ভারতের মাধ্যমে বাংলার মানুষের সেবা করতে চাই। ‘এবার বলুন, বন্ধুত্ব চান, না তোলাবাজি। আমার বন্ধুত্বে ভয় পেয়ে বলতে শুরু করেছেন খেলা হবে। ‘সত্যিই আপনারা অনেক বড় খেলোয়াড়। বাংলার মানুষকে লুঠ করেছেন। মানুষের জীবন নিয়ে আপনারা খেলা করেছেন’।