শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভারতীয় ক্রিকেটারদের আপত্তি গোলাপি বল ব্যবহারের বিষয়ে

News Sundarban.com :
ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
news-image

গোলাপি বলে ভারত টেস্ট খেলেছে তুলনামূলকভাবে অনেক পরে। অস্ট্রেলিয়া যেখানে ২০১৫ সালে প্রথম গোলাপি বলে দিবারাত্রির টেস্ট খেলেছে, সেখানে ভারত খেলেছে ২০১৯ সালের শেষে এসে। গোলাপি বলে দিবারাত্রির টেস্ট নিয়ে প্রথম থেকেই কিছুটা সংশয় ছিল ভারতীয় ক্রিকেটে। এখন ভারতীয় ক্রিকেটাররা নাকি গোলাপি বলে টেস্ট নিয়ে বড় ধরনের আপত্তিই তুলেছেন।

অথচ এ আপত্তি তাঁদের তোলার কথা নয়। এখন পর্যন্ত গোলাপি বলে দিবারাত্রির তিনটি টেস্ট খেলেছে ভারত। এর দুটিতেই তারা জিতেছে দুদিনের মধ্যে। প্রথমবার কলকাতায় বাংলাদেশের বিপক্ষে, ২০১৯ সালের নভেম্বরে। সর্বশেষটা এই আহমেদবাদ টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। দুটিই দেশের মাটিতে। বিদেশে অ্যাডিলেডে যে একটি গোলাপি টেস্ট তারা খেলেছে, সেটি অবশ্য ভুলে যাওয়ার মতোই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৩৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জা গায়ে মাখতে হয়েছিল ভারতের। কিন্তু আহমেদাবাদে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সহজ জয়ের পর গোলাপি বল নিয়ে তাদের আপত্তিটা যেন বেড়েছে।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম নিয়ে সবার আগ্রহ ছিল। ১ লাখ ১০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড-ভারত টেস্ট জমজমাট হবে—সবার প্রত্যাশা ছিল এমনই। কিন্তু সেটি জমেনি। উল্টো পাঁচ দিনের টেস্ট শেষ হয়েছে দুদিনের মধ্যেই। দুই দলের ব্যাটসম্যানদের প্রায় কেউ-ই দাঁড়াতে পারেননি, স্পিনের সামনে রীতিমতো অসহায় বোধ করেছেন। ভাবা যায়, আহমেদাবাদ টেস্টে দুদিনেরও কম সময়ে ৩০ উইকেট, যার ২৮টিই গেছে স্পিনারদের দখলে।

গোলাপি বল নিয়ে আপত্তি তুলেছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা।

জয় পেলেও এ নিয়ে খুব খুশি নন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তাঁদের অভিযোগ, গোলাপি বলে উইকেট পড়েছে সোজা বলে। এটা তাঁদের কাছে অদ্ভুত এক ব্যাপার। ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট বলেছেন, অতিরিক্ত প্লাস্টিক কোটিংয়ের কারণে পিচে বল পড়ে অতিরিক্ত গতিতে স্কিড করেছে। সে কারণেই নাকি ব্যাটসম্যানদের বল খেলতে অসুবিধা হচ্ছে। জো রুটই কেবল নন, বল স্কিড করা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরাও।

ভারতীয়দের আপত্তি গোলাপি বল দেখার সুবিধা নিয়েও। তাদের অভিযোগ, এই বল নাকি দেখতেও অসুবিধা হয়। এ ব্যাপারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা ক্রিকেটারদের অভিযোগ আমলে নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, ‘লাল বা সাদা বলের তুলনায় গোলাপি বল অনেক বেশি স্কিড করে। ব্যাটসম্যানরা সাধারণত মনে করে, বল উইকেটে পড়ে তা ব্যাটে আসবে। কিন্তু গোলাপি বল সেটি করে না। বল স্কিড করে। খেলোয়াড়েরা গোলাপি বল নিয়ে যে আপত্তি তুলেছে, তার মূল ব্যাপার এটিই।’

এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড গোলাপি বল নিয়ে খেলোয়াড়দের আপত্তি খুব গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছে। বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের কাছ থেকে যে আপত্তি এসেছে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দ্রুতই এ ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্তে আসব যে নিকট ভবিষ্যতে আমরা আর কোনো টেস্ট গোলাপি বলে খেলবে কি না!’