শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাংলার কৃষক, শ্রমিক, যুবকদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেবে বিজেপি, হুগলির জনসভা থেকে মোদি

News Sundarban.com :
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক: পুরনো অস্ত্রেই আরও একবার নতুন আঙ্গিকে শাসকশিবিরকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তাঁর বক্তৃতার সিংহভাগই জুড়ে ছিল সিন্ডিকেট রাজ, তোলাবাজি ও দুর্নীতি প্রসঙ্গ। বাংলা এখন সিন্ডিকেটের দখলে। বাংলার সর্বত্র কাটমানি লাগে। মোদীর ‘কাট কালচার’ তোপ।

বললেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পরিবর্তন করার জন্য মনোস্থির করে নিয়েছে। সঙ্গে জানালেন, পরিকাঠামো উন্নয়নে পিছিয়ে পড়েছে বাংলা। তাই আর দেরি করা উচিত নয়। আর তৃণমূলের লক্ষ্য শুধু কাট মানি। আর এই ভয়ে এরাজ্যে আসতে চান না কোনও শিল্পপতি।

বাংলায় দুর্গাপুজো করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তোষণ ও ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি চলছে। বাংলার উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। গরিব মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কিষাণ নিধি, আয়ুষ্মান ভারত থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। জলজীবন মিশন চলছে সারা দেশে। যাতে দেশের প্রতি ঘরে ঘরে জল পৌঁছে যায় সহজে। জল আনতে দূর দূরান্তে যেতে না হয়। বিশুদ্ধ পানীয় জল সহজেই ঘরে মিলে যায়। বাংলায় এই প্রকল্পেও বাধা দেওয়া হয়েছে। চালু হতে দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে গ্রামীণ বাংলায় দেড় কোটি থেকে পৌনে দু কোটি ঘর রয়েছে। তারমধ্যে মাত্র লাখ ঘরে জলের সুবিধা রয়েছে। বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে এখনও জল পৌঁছয়নি। বাংলার মেয়েদের (বঙ্গাল কি বেটি) সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে। বাংলার মেয়েদের সঙ্গে যে অন্যায় করছে, তাকে কী মাফ করা যায়?

আজ সিন্ডিকেট রাজ আর ‘তুষ্টিকরণ’-এর রাজনীতির আখড়া হয়ে উঠেছে, তা নিয়ে বিঁধেছেন মা – মাটি – মানুষের সরকারকে। দাবি করেছেন, বাংলায় বিজেপি সরকার এলে লগ্নি থেকে শিক্ষা, বাঙালির পুরনো ‘গর্ব’ ফিরিয়ে দেবেন তিনি। মার্চের শুরুতেই মোদির ব্রিগেড। আশা করা হয়েছিল, ভোট ঘোষণার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে তুলবেন না প্রধানমন্ত্রী। তবে, এদিন তাঁর বক্তব্যের ঝাঁঝে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, বাকি চার রাজ্যের ভোট ততটাও নয়, মোদির আসল চোখ বাংলাতেই।

এই সরকারকে মানুষ ক্ষমা করবে না। বিজেপি সরকার এসে বাংলার সংস্কৃতির জয়গান শুরু হবে। সোনার বাংলা গড়ে তুলবে বিজেপি সরকার। বাংলার ইতিহাস, সংস্কৃতি মজবুত হবে। সেই বাংলা গড়ে তুলতে হবে যেখানে শুধু উন্নয়ন হবে। তোষণের রাজনীতি হবে না, তোলাবাজি হবে না। বাংলা অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেক এগিয়ে ছিল। কিন্তু বাংলার সরকার বাংলাকে পিছিয়ে দিয়েছে। মা-মাটি-মানুষের সরকার বাংলাকে পিছিয়ে দিয়েছে।
দূষিত জল থেকে শিশুদের বাঁচানো যায়। বাংলায় প্রায় দেড় কোটি পরিবারের মধ্যে শুধু ২ লক্ষ মানুষ পরিশোধিত জল পায়। দেশে ৩ কোটি মানুষ পরিশোধিত জল পায়। পাইপের মাধ্যমে পানীয় জল মাত্র ৯ লক্ষ পরিবার পায়। তৃণমূল সরকার গরিব মানুষকে পানীয় জল পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারে না। ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছতে ১৭০০ কোটি টাকা তৃণমূল সরকারকে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু মাত্র ৬০৯ কোটি টাকা খরচ করতে পেরেছে তৃণমূল সরকার। বাকি টাকা খেয়ে ফেলেছে তৃণমূল সরকার।
হুগলিতে জুটমিল, বড় বড় কারখানা ছিল, কিন্তু এখন কিছুই নেই। এখন কাজের খোঁজে অন্য রাজ্যে যেতে হয় বাংলার মানুষকে। বাংলা সিন্ডিকেটের হাতে চলে গেছে। সিন্ডিকেটের জন্য উন্নয়ন বন্ধ হয়েছে। বাংলায় ভাড়ায় বাড়ি নিতে গেলেও কাটমানি দিতে হয়।অনাবাসীরা বিনিয়োগ করতে রাজি হলেও কীভাবে করবে ? সিন্ডিকেট, তোলাবাজি, কাটমানি বন্ধ না হলে বাংলায় উন্নয়ন হবে না। প্রশাসন গুণ্ডাদের আশ্রয় দেয়। শুধু রাজ্যে কাট, কাট, কাট।, কটাক্ষ মোদির ।
আর নয় অন্যায়, আমরা আসল পরিবর্তন চাই। বাংলার কৃষক, শ্রমিক, যুবকদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেবে বিজেপি। বঙ্গ সফরে এসে জানালেন মোদি।