শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পুদুচেরিতে নারায়ণস্বামীর সরকারের পতন

News Sundarban.com :
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক: পুদুচেরিতে পতন হল কংগ্রেস সরকারের। আজ বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে আস্থাভোটে হেরে যায় কংগ্রেস। নির্বাচনের তিন মাস আগেই পুদুচেরিতে পতন হল নারায়ণস্বামীর সরকারের।

রাজভবনে গিয়ে উপরাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দরারাজনের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন নারায়ণস্বামী। এরপর তিনি বলেছেন, ‘আমি, মন্ত্রীরা, কংগ্রেস, ডিএমকে ও নির্দল বিধায়করা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি এবং সেটি গ্রহণ করার আবেদন জানিয়েছি।’

আজ বিধানসভায় আস্থাভোট নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন নারায়ণস্বামী বলেন, ‘প্রাক্তন উপরাজ্যপাল কিরণ বেদী ও কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীদের সঙ্গে মিলে সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে। আমাদের বিধায়করা ঐক্যবদ্ধ থাকায় গত পাঁচ বছর ধরে সরকার চালাতে পেরেছি। আমরা যে টাকা চেয়েছিলাম, সেটা না দিয়ে পুদুচেরির মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে আমরা দু’টি ভাষা ব্যবহার করি। কিন্তু বিজেপি জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।’

কংগ্রেস সরকারের কাছে মাত্র ১২ জন বিধায়ক ছিল। সেখানে বিরোধী বিধায়কের সংখ্যা ১৪। রবিবার বিধানসভার অধ্যক্ষ ভি পি শিবাকোলুন্ধুর বাসভবনে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দেন রাজভবন কেন্দ্রের বিধায়ক কে লক্ষ্মীনারায়ণ। ডিএমকে বিধায়ক কে ভেঙ্কটেশনও তারপর ইস্তফা দেন । ২০১৬ সালে ডিএমকের তিনজন এবং একজন নির্দল বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েছিল সরকার। নিজেদের হাতে ছিল ১৫ জন। কিন্তু আপাতত ৩৩ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় (তিনজন মনোনীত) পাঁচজন সদস্য কমে গিয়েছে। তার ফলে বিধানসভায় সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮। লক্ষ্মীনারায়ণ এবং ভেঙ্কটেশনের ইস্তফাপত্র গৃহীত হলে সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়াবে ২৬। আর অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে বিজেপির হাতে ১৪ জন বিধায়ক আছেন। এর জেরেই ক্ষমতা হারাল নারায়ণস্বামী সরকার। এই পরিস্থিতিতে নতুন সরকার গঠন হবে নাকি রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হবে, সেই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।