বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘মৃত্যু দুঃখজনক, সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করে বলেছি মৃতের পরিবারকে চাকরি দেব: মমতা

News Sundarban.com :
ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি: নবান্ন অভিযানে গিয়ে পুলিশের লাঠির ঘায়ে তিনি আহত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। গত চারদিন ধরে লড়ে সোমবার মৃত্যু হয়েছে কোতলপুরের ডিওয়াইএফআই-এর নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্যার। মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ‘মৃত্যু দুঃখজনক, কিন্তু কীভাবে মৃত্যু পরে বোঝা যাবে। কীভাবে মৃত্যু, জানা যাবে ময়নাতদন্তের পর।’
এদিন মমতা বলেন, ‘মৃত্যু সব সময় দুঃখের। আমি সকালে সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলাম। বলেছি, কী ভাবে মারা গিয়েছে সেটা পোস্ট মর্টেম হওয়ার পরে বোঝা যাবে। ওরা পুলিশে কোনও অভিযোগ করেনি। বাড়ির লোককেও জানানো হয়নি ২ দিন আগে। আমি সুজন চক্রবর্তীকে বলেছি, পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি তাদের একজন সদস্যকে চাকরি দিতে রাজি আছি। আর্থিক সাহায্য করতেও রাজি আছি।’
অন্যদিকে, কর্মীর মৃত্যুর বিরুদ্ধে সরব হয়ে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছেন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। সোমবার বিকেলে ডিওয়াইএফআই দফতরে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে দলীয় কর্মীদের। এই নিয়ে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী দাবি করেছেন, “পুলিশের নৃশংস আক্রমণে খুন হয়েছে মইদুল ইসলাম মিদ্যা। নারকীয় এই ঘটনায় নিন্দার কোনও ভাষা নেই। ছাত্র যুবদের ঘিরে ধরে যে ভাবে সে দিন মারা হল জালিয়ানওয়ালাবাগের স্মৃতি উস্কে দেয়। এটা কী চলছে বাংলায়? যে ভাবে সে দিন পুলিশ ওকে ঘিরে ধরে মারল এটা সাধারণ মৃত্যু নয়, খুন। নবান্ন অভিযানে শহিদ মইদুল। এ তো সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যু মনে করাচ্ছে। কত নৃশংস হতে পারে পুলিশ তা বোঝা যাচ্ছে। কত লাশ চাই সরকারের যে একটা জলজ্যান্ত ছেলেকে লাশ বানিয়ে দিল!”
কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, “জল্লাদের সরকার চলছে। কীভাবে নিন্দা করব জানি না। এই সরকার হত্যাকারীর সরকার।”
গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাম যুবাদের নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিতে আহত হন মইদুল। এর পর তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সোমবার মৃত্যু হয় তাঁর। বাম নেতৃত্বের দাবি, পুলিশের লাঠির আঘাতে কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। সোমবারই কলকাতার পুলিশ মর্গে দেহের ময়নাতদন্ত হবে। মইদুলের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে জোরদার আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বামেরা।