শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করবে আন্তর্জাতিক আদালত

News Sundarban.com :
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১
news-image

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) বলেছেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার বিচার করতে পারবেন আদালত। শুক্রবার এক রায়ে এমনটা জানানো হয়। এ রায়ের ফলে গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতিকারীরা স্থানীয়দের প্রতি কী ধরনের আচরণ করছে, তা নিয়ে আইসিসির তদন্ত করার পথ পরিষ্কার হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আইসিসির এ রায়ের নিন্দা জানিয়েছেন। ওদিকে ফিলিস্তিনি নেতারা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। খবর আল জাজিরার।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতিহ্র বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আইসিসির এ রায় ন্যায় বিচার ও মানবতার জয়। এর মাধ্যমে সত্যিকার মূল্যবোধ, স্বাধীনতা ও শহীদদের পরিবারদের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

আদালতের কৌঁসুলি ফাতৌ বেনসুদা এর আগে এই তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এ অঞ্চলগুলোতে যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো সুস্পষ্ট ঘটনা যে ঘটছে, তা বিশ্বাস করার মতো যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

এক বছর আগে তিনি বলেছিলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক প্রাথমিক তদন্ত শুরু করার মতো পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তার ওই বক্তব্যের ঠিক এক বছর পরে  আইসিসির এ রায় এসেছে।

তবে এ রায় প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েল বলেছে, এটা আমাদের রাজনৈতিক অধিকার। আমাদের সেনারা তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য আদেশপ্রাপ্ত এবং তাদের রক্ষা করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবিদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, আদালতের এই রায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলা দেশগুলোর অধিকার ক্ষুণ্ণ করার শামিল।

বেনসুদা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং হামাসের মতো ফিলিস্তিনি দলকে সম্ভাব্য অপরাধী হিসেবে উল্লেখ করে তিনি আদালতকে এই অঞ্চলগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পক্ষের কর্মকাণ্ড পরীক্ষা করে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

২০০২ সাল থেকে আইসিসি বৈশ্বিক বিচার ব্যবস্থার অংশ। গণতন্ত্র, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্তদের রোম সংবিধি অনুসারে বিচার করার এখতিয়ার তাদের রয়েছে।