বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সেনা অভ্যুত্থানে উদ্বেগ ও সু চির মুক্তি দাবি জাতিসংঘের

News Sundarban.com :
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২১
news-image

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশটির নির্বাচিত নেতা অং সান সুচি এবং পদচ্যুত রাষ্ট্রপতি উইন মিন্টকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিল। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

দেশটির অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের উত্তরণে অব্যাহত সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্যরা। খবর ইউএন নিউজের।

এর একদিন আগে স্থায়ী সদস্য চীনের ভেটোর মুখে মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিবৃতি প্রদানে একমত হতে পারেনি জাতিসংঘ।

বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে অভ্যুত্থানের ঘটনায় আটক সবাইকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখা, সহিংসতা থেকে বিরত থাকা এবং মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসনকে সম্মান করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়।

১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ ‘মিয়ানমারের জনগণের ইচ্ছা ও স্বার্থ অনুযায়ী সংলাপ ও পুনরায় সংবিধান অনুসরণে উৎসাহিত করেছে’।

বিবৃতিতে সামাজিক যোযাযোগ মাধ্যম, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক এবং অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ‘দরিদ্র ব্যক্তিদের কাছে মানবিক সহায়তার পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ বিমানকে পুনরায় প্রবেশাধিকার দিতে আহ্বান জানানো হয়।’

জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের বিবৃতিতে ‘রাখাইন রাজ্যের সঙ্কটের মূল কারণগুলো’ খুঁজে বের করে তা সমাধানের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বর আক্রমণের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে নিরাপদ, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য শর্ত প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্যরা মিয়ানমারের সার্বভৌমত্ব, রাজনৈতিক স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং ঐক্যের প্রতি তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’

এর আগে বুধবার ওয়াশিংটন পোস্ট অনলাইনে আয়োজিত এক আলোচনায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘এই অভ্যুত্থান যাতে ব্যর্থ হয় তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত করতে কাজ করবে জাতিসংঘ। (মিয়ানমারে) নির্বাচনের পরে এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। নির্বাচনের ফলাফল এবং জনগণের ইচ্ছাকে পর্যুদস্ত করা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।’

গুতেরেস আরও বলেন, ‘আশা করি মিয়ানমার আবারও গণতন্ত্রে উন্নীত হতে সক্ষম হবে। তবে তার জন্য অবশ্যই সব বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। সাংবিধানিক আদেশ পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এবং আমি আশা করি যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ ইস্যুতে একত্রিত হতে সক্ষম হবে।’