শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আলজাজিরার প্রতিবেদন: তদন্ত চাইলেন জাতিসংঘের মুখপাত্র

News Sundarban.com :
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২১
news-image

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেছেন, আল জাজিরা টেলিভিশনে বাংলাদেশে দুর্নীতির যে অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছে, তা ‘গুরুতর বিষয়’। সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এসব অভিযোগ তদন্ত করা।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বৃহস্পতিবার আলজাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে দুর্নীতির অভিযোগ ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য সেনাবাহিনীর গুপ্তচরবৃত্তির সরঞ্জাম কেনার দাবির বিষয়ে আলজাজিরার তথ্যের ব্যাপারে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের মন্তব্য জানতে চান।

জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ-সংক্রান্ত আলজাজিরার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সম্পর্কে তারা অবগত আছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কেও তারা অবহিত। দুর্নীতির এত গুরুতর অভিযোগগুলো সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্ত করা উচিত।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে এই ব্রিফিং ও প্রশ্নোত্তরের বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র আরও বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে ইউনিফর্মধারী সদস্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় অংশগ্রহণকারী। জাতিসংঘের সুনির্দিষ্ট প্রয়োজন অনুসারে এই ধরনের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে- এমন প্রতিটি শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য দেশটির সঙ্গে জাতিসংঘের চুক্তিতে এই প্রয়োজনের প্রতিফলন থাকে। আলজাজিরার তথ্যচিত্রে যেসব ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের কথা বর্ণনা করা হয়েছে, তার প্রয়োজনীয়তার কথা জাতিসংঘ কোনো চুক্তিতে উল্লেখ করেনি। আর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টে এই ধরনের সরঞ্জামও রাখা হয়নি।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে জাতিসংঘের সংশ্নিষ্ট গোয়েন্দা নীতি অনুসরণ করতে হয়। নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রয়োজনে জাতিসংঘ সদস্যদের নিরাপত্তা জোরদার করতে কোথাও যোগাযোগে আড়িপাতা হয়। আর এই সক্ষমতা প্রয়োগ করা হয় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা গোয়েন্দা নীতির কঠোর অনুসরণ ও বাহিনী কমান্ডারের কর্তৃত্বের আওতায়।

আলজাজিরা গত সোমবার রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সেনা সদর দপ্তর এই প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়।

সেনা সদরের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই প্রতিবেদনে ইসরায়েল থেকে ‘মোবাইল ইন্টারসেপটর ডিভাইস’ কেনার বিষয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য প্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সত্য হচ্ছে, এই যন্ত্রপাতি কেনা হয় হাঙ্গেরি থেকে এবং জাতিসংঘের একটি শান্তিরক্ষী মিশনের জন্য। এই যন্ত্রপাতি ইসরায়েলে উৎপাদিত হয়েছে- এমন তথ্য কোথাও উল্লেখ করা হয়নি বা লিখিতভাবেও নেই। যতদিন পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত না হবে, ততদিন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা কিংবা কোনো কিছু ক্রয়ের কোনো সুযোগই নেই।