শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অভ্যুত্থানের দুদিন পর সু চির বিরুদ্ধে মামলা

News Sundarban.com :
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১
news-image

সেনা অভ্যুত্থানের দু’দিন পর বুধবার রফতানি ও আমদানি আইন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্ট এবং স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির বিরুদ্ধে মামলা করেছে সামরিক সরকার।

সোমবার সকাল থেকে পুলিশ হেফাজতে থাকা এই দুই নেতার আটককে বৈধতা দেওয়ার পদক্ষেপ হিসেবে তাদের দু’জনকে নেপিদোর ডেকিনার জেলা আদালত রিমান্ডে (১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি) পাঠিয়েছে। খবর ইরাবতির

পুলিশের জমা দেওয়া রিমান্ড আবেদন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের ২৫ অনুচ্ছেদের অধীনে নিয়ম লঙ্ঘনের এবং দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দ্বারা নির্ধারিত করোনাকালীন বিধিনিষেধ লঙ্ঘন সংক্রান্ত অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে।

পুলিশের বিবৃতি অনুযায়ী, ৭০ বছর বয়সী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সেপ্টেম্বরে তার প্রেসিডেন্ট ভবনের ফটকে স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি প্রচার সমাবেশে অংশ নিয়ে করোনা বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। ওই সমাবেশে প্রায় ৭৬০ জন উপস্থিত ছিলেন। কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে রাজনৈতিক প্রচারণার জন্য ওই সমাবেশে সর্বাধিক ৫০ জনের উপস্থিতি নির্ধারণ ছিল। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও ব্যাপক সমাগম করেছিল। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে ক্ষমতাচ্যুত এ প্রেসিডেন্টের সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

এদিকে, সোমবার সকাল থেকে পুলিশ হেফাজতে থাকা অং সান সু চির বিরুদ্ধে নেপিদোয় তার বাসায় ‘অবৈধভাবে আমদানি করা ওয়াকিটকি ব্যবহারের’ অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও মিয়ানমারের বাজারে এ জাতীয় ডিভাইস ব্যাপকভাবে সহজলভ্য।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকালের অভিযানে সু চি’র সুরক্ষা টিমের কাছে নয়টি ওয়াকিটকি পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে রফতানি ও আমদানি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে ৭৫ বছর বয়সী সু চির তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

তবে তাদের রিমান্ড আদেশ থেকে এটি স্পষ্ট নয় যে প্রেসিডেন্ট এবং স্টেট কাউন্সেলর কারাগারে বন্দি আছেন নাকি তাদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।

বুধবার চিফ অব আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস (এপিএইচআপ) চেয়ারম্যান এবং মালয়েশিয়ার এমপি চার্লস সান্টিয়াগো বলেন, সু চি এবং প্রেসিডেন্ট মিন্টের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ‘হাস্যকর’। এই পদক্ষেপকে তিনি ‘মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে সেনাবাহিনীর অবৈধ ক্ষমতা দখলের বিষয়টি বৈধ করার চেষ্টা হিসেবে একটি অযৌক্তিক পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেন।