করোনার টিকা নিয়ে অসুস্থ, ভরতি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে
নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক: চলতি মাসের ১৬ তারিখ দুর্গাপুরের সৃজনী হলে শুরু হয় করোনা ভ্যাক্সিন দেওয়ার কাজ। করোনার টিকা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন রাজ্যের আরও তিন স্বাস্থ্যকর্মী। বৃহস্পতিবারই টিকা নেন তাঁরা। তারপর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনজন। বর্তমানে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন তাঁরা। গত ১৬ জানুয়ারি থেকে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি দুর্গাপুরেও চলছে করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি। দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকে শুরু করোনা ভ্যাক্সিন দেওয়ার কাজ।
পাশাপাশি দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের লাউদোহা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটা শাখায় শুরু হল করোনা ভ্যাক্সিন দেওয়ার কাজ।
দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে চলছিল টিকাকরণ। সেখানে ভ্যাকসিন নিতে যান দীপা গড়াই নামে এক স্বাস্থ্যকর্মী। তিনি দুর্গাপুরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরুরিয়াডাঙা উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী। জানা গিয়েছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর থেকে মাথা ঘুরতে শুরু করে তাঁর।
তড়িঘড়ি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয় ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে।হাসপাতাল সূত্রে খবর, দীপা হাই ব্লাড সুগারের রোগী। ইনসুলিনও নিতেন।দীপার মতোই অসুস্থ হয়ে পড়েন স্বাস্থ্যকর্মী পূর্ণিমা হাজরাও। তিনি দুর্গাপুরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের উইলিয়াম কেরি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী।
টিকা নেওয়ার পর থেকে তাঁরও মাথা ঘুরতে থাকে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পূর্ণিমার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। টিকা দেওয়ার পর থেকে রক্তচাপ আরও বেড়ে যায়। তার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন পূর্ণিমা। দুর্গাপুরে মল্লিকা দাস নামে আরও এক স্বাস্থ্যকর্মীও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তিনি দুর্গাপুরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিধানপল্লি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী। তাঁরও রক্তচাপও বেড়ে যাওয়ার ফলে বিপত্তি বলেই দাবি চিকিৎসকদের। দুর্গাপুর মহকুমা সুপার ধীমান মণ্ডল জানান, তিনজনই হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভরতি রয়েছেন। তবে বর্তমানে তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা পর্যন্ত ২৫ জন স্বাস্থ্য কর্মী ভ্যাক্সিন নিয়েছেন। এদিন এই ভ্যাক্সিন প্রধানত স্বাস্থ্য কর্মীদের দেওয়া হয়েছে । স্বাস্থ্যকর্মী রূপা পাত্র জানান,ভ্যাক্সিন নিয়ে কোনওরকম অসুবিধা হয়নি ,ভালই আছি। যারা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন তাদের কিছুক্ষনের জন্য নজরে রাখা হচ্ছে । শেষপর্যন্ত পাওয়া খবর ভ্যাক্সিন দেওয়া সুস্থ্য ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।