ভবঘুরেদের ভিক্ষাবৃত্তি তে নিয়ে আসা হচ্ছে, অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের
নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক: ভবঘুরেদের ভিক্ষাবৃত্তি তে নিয়ে আসা হচ্ছে। কাজ করছে দুষ্ট চক্র। অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের। ভিক্ষাবৃত্তি পৃথিবীর সকল দেশেই একটি ঘৃনিত সামাজিক সমস্যা। এমন কোন দেশ নেই যেখানে এ আত্মসম্মানবিভর্জিত ঘৃনিত কাজটিকে সমর্থন করে। এটি সামাজিক মূল্যবোধকে নষ্ট করার অন্যতম পন্থা। ‘ভিক্ষুক’ কথাটি উঠলেই মনের মধ্যে সাধারণত এমন একজন মানুষের প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠে যে হবে দীনহীন, অতি দরিদ্র, যাকে দেখাবে খুবই রুগ্ন, যার কাছে সাধারণত খাবার থাকবে না, পরনে থাকবে না ভাল কোন জামা-কাপড়। ভারতের মতো বহু দেশে ভিক্ষাবৃত্তি একটি নিরাপদ পেশা, যেখানে পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেও এটা আইনত অপরাধমূলক কাজ।
হাওড়া স্টেশনের চত্বরে বাস করে অনেক অসহায় গৃহহীন মানুষ। অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওই সমস্ত মানুষদের খাওয়ার ব্যাবস্থা করে। তারই মধ্যে এক সংস্থার দাবি গত ১৫ দিন ধরে হাওড়া স্টেশনে একটি মহিলাকে খাবার দিয়ে আসতেন তারা কিন্তু তারা পরবর্তীকালে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন এই মহিলাকে তার আত্মীয়-স্বজন এলাহাবাদ নিয়ে চলে গেছেন কিন্তু বৃহস্পতিবার টিকিয়াপাড়া রেলস্টেশন এর কাছে ওই মহিলাকে ভিক্ষা করতে দেখেন ওই সংস্থার কর্মীরা তখন ঐ মহিলাকে সেখানে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে। ঐখানেই ভিক্ষা করতে থাকা আরও দু’জনকে তারা আটক করে।
তাদের দাবি এই ধরনের মানুষ গুলোকে দিয়ে ভিক্ষা করানোর পেছনে কোনো বড় একটা দল আছে যারা এই ধরনের কাজগুলো করিয়ে থাকে। তারা যখন পুলিশকে খবর দেয় পুলিশ না আসায় তারা ওই মহিলাকে নিয়ে হাওড়া থানায় যায়। তাদের কে গোলাবাড়ি থানায় হস্তান্তর করে তারা। সংস্থার কর্মীদের দাবি পুলিশকে বারবার জানানো সত্ত্বেও পুলিশ কোন কথায় কর্ণপাত না করার কারণে এই ধরনের অসাধু কাজ হাওড়ার বুকে হয়ে চলেছে। তাই তাদের দাবি আজ তারা পুলিশকে জানানোর পর যদি আগামী দিনের সুরাহা না হয় এইভাবে মানুষকে বাচ্চাদের এবং বয়স্কদের ভিক্ষাবৃত্তিতে নামানো হয় তাহলে তারা পুলিশের বিরুদ্ধে বড় আন্দোলন গড়ে তুলবেন।