গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়ে পুলিশের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলো যুবক
নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক: কোন এক অঞ্জাত কারণ বশতঃ আত্মহত্যার জন্য পথ বেছে নিয়েছিল জনৈক এক যুবক।সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতে প্যান্ডেল বাঁধার দড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু রাখে হরি মারে কে!ক্যানিং থানার অধিনস্ত গোলাবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলো বছর কুড়ি বয়সের বিশ্বজিৎ নামে এই যুবক।বর্তমানে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে ক্যানিং থানার অন্তর্গত ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নম্বর গোলাবাড়ি গ্রামের যুবক বিশ্বজিত দাস। কোন এক অঞ্জাত কারণে আত্মহত্যা করার জন্য মনস্থীর করে। সেই মতো মঙ্গলবার রাতে দড়ি জোগাড় করে বাড়ি থেকে প্রায় ৬-৭ কিলোমিটার দূরে ইটখোলা রাজনারায়ণ উচ্চমাধ্যমিক হাইস্কুলের কাছে পৌঁছে যায়। খুব সতর্ক ভাবে স্কুলের কাছেই বৃহৎ একটি বট গাছে উঠে পড়ে সে।রাতের অন্ধকারে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়ে।কিন্তু বিধি বাম। মুহূর্তে ফাঁসের দড়ি ছিঁড়ে যায়।গাছ থেকে মাটিতে পড়ে গুরুতর জখম হয়ে অঞ্জান হয়ে যায় এই যুবক।
গাছ থেকে পড়ে যাওয়ার আওয়াজ পেয়ে রাতের অন্ধকারে দৌড়ে আসেন আশে পাশের লোকজন। তারা দেখতে পায় গাছের নীচে এক যুবক পড়ে রয়েছে। মুখ দিয়ে গোঙানী শব্দ হচ্ছে। রাতের অন্ধকার এমন ঘটনায় অনেকে ভয়ে পালিয়ে যায়।অন্যান্যরা ঘটনার খবর স্থানীয় গোলাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ কে জানায়।পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্দ্রজিত ভকত ঘটনার খবর শোনার মুহূর্তে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে হাজীর হন।ইন্দ্রজিত বাবু ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তড়িঘড়ি মরণাপন্ন যুবক কে উদ্ধার করে পুলিশ গাড়িতে তুলে তোলেন।চিকিৎসার জন্য দ্রুত গতিতে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।পুলিশের তৎপরতায় বর্তমানে এই যুবক ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রাতের অন্ধকারে বিভীষিকাময় এমন ঘটনায় তাজ্জব স্থানীয় গ্রামবাসীরা।তারা পুলিশের এমন মানবিক কাজ কে প্রশংসা করে জানিয়েছে “সঠিক সময় মতো পুলিশ না আসলে এই যুবকের মৃত্যু হয়ে যেতো।পুলিশের তৎপরতায় সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে প্রাণ ফিরে পেয়েছে বিশ্বজিৎ দাস নামে ওই যুবক।
তবে ঠিক কারণে এমন ঘটনা ঘটলো সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।”