বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তলবে সাড়া দিলেন না রাজ্যে

News Sundarban.com :
ডিসেম্বর ১২, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ‘তলবে’ সাড়া দিলেন না রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র। শুক্রবার নবান্নের তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লাকে চিঠি পাঠিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যের তরফে কেউই জবাবদিহি করতে দিল্লিতে যাবেন না। রাজ্য সরকারের তরফে আলাপনই চিঠিটি লিখেছেন।

বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারে সভা করতে যাওয়ার পথে দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিরাকোলে বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডার কনভয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ওই হামলার ঘটনা এবং পশ্চিমবঙ্গের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিশদে জানতে রাজ্য প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্তাকে আগামী ১৪ ডিসেম্বর দিল্লিতে বৈঠকের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
সাংবাদিক বৈঠক করে রীতিমতো বিষোদগার করেন রাজ্যপাল। তিনিও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে লেখা চিঠিতে আলাপন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার জেড-ক্যাটেগরি সুরক্ষাপ্রাপ্ত নাড্ডা-সহ বিজেপি নেতাদের উপর হামলার ঘটনায় তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন।  সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, নাড্ডার জন্য রাজ্য পুলিশ বুলেটপ্রুফ গাড়ি এবং পাইলট কারের ব্যবস্থা করেছিল। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি কনভয়ে ছিল সিআরপিএফ বাহিনী।
আলাপন লিখেছেন, রাজ্য পুলিশের এক ডিআইজি নিজে এলাকায় গিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকিতে ছিলেন। যাত্রাপথে ৪ জন অতিরিক্ত সুপার, ৮ জন ডিএসপি, ৭০ জন সাব-ইনস্পেক্টর এবং এএসআই, ৪০ জন র‌্যাফ জওয়ান, ২৫৯ জন কনস্টেবলের পাশাপাশি ৩৫০ জন অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন ছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের সব ব্যবস্থাপনা-সহ মোতায়েন ছিল।
মুখ্যসচিবের দাবি, সুরক্ষায় মোতায়েন নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবেই পালন করেছেন। নাড্ডা-সহ নিরাপত্তা প্রাপ্ত নেতাদের গাড়িগুলি হামলার শিকার হয়নি। তাঁর দাবি, এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কারণ হল, নিরাপত্তা জন্য নথিভুক্ত নয় এমন বহু গাড়ি কনভয়ে ঢুকে পড়েছিল।

চিঠিতে লেখা হয়েছে, বৃহস্পতিবারের ঘটনার পরে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলায় ৩টি মামলা রুজু করা হয়েছে। তার মধ্যে উস্তি এবং ফলতা থানায় রুজু মামলা দু’টিতে সুনির্দিষ্ট ভাবে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে।
ওই দু’টি মামলায় ইতিমধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে অবহিত করার কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবকে আলাপনের বার্তা, রাজ্য সরকার বিষয়টিকে চূড়ান্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এই পরিস্থিতিতে আমার অনুরোধ, বৈঠকে রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের ব্যক্তিগত উপস্থিতি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
বিজেপি-র অভিযোগ, শিরাকোলের হামলাকারীরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী।