নিজেকে শান্ত করতে হাঁটলেন ৪৫০ কিলোমিটার হেঁটে যাওয়া
নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন দেশে আবারও শুরু হয়েছে লকডাউন। এ কারণে অনেককেই ঘরে সময় কাটাতে হচ্ছে। ফলে বাড়ছে পারিবারিক কলহও। অনেকে আবার বিবাহবিচ্ছেদের মামলাও করেছেন। কিন্তু, তাই বলে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে নিজেকে শান্ত করতে ৪৫০ কিলোমিটার হেঁটে যাওয়ার ঘটনা খুব কমই আছে। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও অদ্ভুত এ ঘটনাটি ঘটেছে ইতালিতে।
রোববার রাত ২ টার দিকে ইতালির উপকূলবর্তী এলাকা ফানোর রাস্তায় এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করে। পরে কারফিউয়ের নিয়ম ভাঙার অভিযোগে তাকে জেরা করা হয়। তখনই জানা যায় অদ্ভুত সেই ঘটনা।
ওই ব্যক্তি জানান, তার বাড়ি ইতালির উত্তর কোমো এলাকায়। সপ্তাহখানেক আগে স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রচণ্ড ঝগড়া হয়েছিল। এরপরই মাথা ঠান্ডা করার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা হাঁটতে থাকেন তিনি। টানা এক সপ্তাহ ধরে হাটার পর ফানো অঞ্চলে পৌঁছান।
তিনি আরও জানান, তিনি এতটা পথ হেঁটেই এসেছেন। কোনও যানবাহন ব্যবহার করেননি। তিনি বলেন, প্রতিদিন ৬০ কিলোমিটার পথ হেঁটেছি। পুরো পথে অনেকেই খাবার আর পানি খেতে দিয়েছেন। এখন কিছুটা ক্লান্ত লাগছে। তারপরও ভালো আছি।
সব কথা শোনার পর পুলিশ ৪৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে ৪৫০ ডলার জরিমানা করে। পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা কাগজপত্র পরীক্ষা করে জানতে পারে যে তার স্ত্রী উত্তর কোমো এলাকার পুলিশের কাছে স্বামীর নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ জানিয়েছেন। এরপরই ওই নারীকে খবর পাঠানো হয়। তিনি এসে তার স্বামীকে নিয়ে যান। তবে স্বামীর জরিমানা হওয়ার পর ওই নারীর প্রতিক্রিয়া কি ছিল তা জানা যায়নি।
গল্পটি প্রথম বোলোগনভিত্তিক সংবাদপত্র ইল রেস্টো দেল কার্লিনোতে প্রকাশিত হয়। পরে তা দ্রুত ইতালীয় সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে।
সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই ওই ব্যক্তিকে বীর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কেউ কেউ আবার জরিমানা নিয়ে সমালোচনাও করেছেন। মন্তব্যকারীদের একজন লিখেছেন, এতটা পথ হাঁটার জন্য তাকে পুরষ্কৃত করা উচিত, জরিমানা নয়। আরেকজন লিখেছেন, ওই ব্যক্তিকে নতুন এক জোড়া জুতা দেওয়া উচিত। অন্য একজন সহিংসতার পথ না বেছে রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে এভাবে হাঁটার জন্য ওই ব্যক্তির প্রশংসা করেন।