শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমরা বাঁকুড়ার ছেলে পান্তাভাত খেয়ে বড় হয়েছি, কাজু বাদাম খেয়ে নয় : কল্যাণ ব্যানার্জী

News Sundarban.com :
ডিসেম্বর ৬, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়ায় থাকলে অনেকে বড় বড় নেতা হতে পারেন। গাছটার তলা থেকে সরে গেলে সে বুঝতে পারবে কতো বড় নেতা। শনিবার বাঁকুড়ার তালডাংরায় দলীয় এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে শুভেন্দু অধিকারী ইস্যুতে নাম না করে এই ভাষাতেই তাঁকে বিঁধলেন তৃণমূল নেতা ও সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জী। একই সঙ্গে তিনি বলেন, পোজ মেরে পান্তাভাত খাওয়ার গল্প না বললেও চলবে। আমরা বাঁকুড়ার ছেলে পান্তাভাত খেয়ে বড় হয়েছি, কাজু বাদাম খেয়ে নয় বলেই তিনি দাবি করেন।

এদিন স্বভাবসিদ্ধভঙ্গিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও এক হাত নেন কল্যান ব্যানার্জী। রাজ্যের ‘গুণ্ডাদের আশ্রয়দাতা’ বলেও রাজ্যপালকে কাঠগোড়ায় তোলেন তৃণমূলের এই আইনজিবি সাংসদ। দু’নম্বরী শিল্পপতিদের নিয়ে রাজ্যপাল টী পার্টি করেন’ বলেও এদিন তিনি অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে ‘ব্যাকডোর’ দিয়ে বিজেপিকে এরাজ্যে ক্ষমতায় আনতে তিনি চেষ্টা চালাচ্ছেন দাবি করে বলেন, রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির চেষ্টা করা হলে কলকাতায় তার গাড়ি আটকে দেওয়া হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারী দেন।

বাঁকুড়ার ‘বজেপি গুণ্ডাদে’র হুঁশিয়ারী দেওয়ার পাশাপাশি দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ‘কচি খোকা’ বলেও তিনি সম্বোধন করে বলেন, বিজেপি করতে এসেছো করো, কেউ হাতে চুড়ি টরে নেই।’ একই সঙ্গে ৬০ কোটায় দাঁড়ানো ঐ কচি খোকা বিজেপি সভাপতি এখন বিয়ে করতে চাইছেন বলেও দাবি করেন।

এদিনের কর্মসূচীতে কল্যাণ ব্যানার্জী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক সমীর চক্রবর্ত্তী, তালডাংরা ব্লক সভাপতি মনসারাম লায়েক প্রমুখ।