শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাস্ক না থাকলে ক্যানিং ষ্টেশনে প্রবেশ করা যাবে না, খুশি সচেতন নিত্য রেল যাত্রীরা

News Sundarban.com :
নভেম্বর ২১, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেক্স:   মাস্ক পরা বাধ্যতা মুলক। রুমাল,ওড়না কিংবা কোন কাপড় মুখে দিয়ে মুখ ঢাকলে চলবে না। মাস্ক মুখে থাকা জরুরী এবং বাধ্যতামুলক। আর মাস্ক না থাকলে ক্যানিং ষ্টেশনে প্রবেশ করা যাবে না। মাস্ক না পরলে ক্যানিং ষ্টেশনে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ প্রশাসনও। আর পুলিশের এমন কর্মকান্ডে খুশি সচেতন নিত্য রেল যাত্রীরা।

শনিবার দুপুরে হন্তদন্ত হয়ে এক বেসরকারী স্কুলের শিক্ষক সোনারপুর যাবেন বলে ক্যানিং ষ্টেশনের টিকিট কাউন্টারে টিকিট কাটার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। করোনা ভাইরাসের দাপট জানা স্বত্বে ও তাঁর মুখে কোন মাস্ক ছিল না। টিকিট কাউন্টারে অন্যান্য যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে কোন ভ্রুক্ষেপ না করেই চলে যায় এই স্কুল শিক্ষক। অগত্যা ট্রেনে উঠতে গিয়েই বিপত্তি।মহা ফাঁপরে পড়ে যায়।ক্যানিং ষ্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্য পুলিশ ও আরপিএফ এর নজরে পড়ে মাস্কহীন ওই শিক্ষক।

ষ্টেশনের বাইরে বের করে দেয় পুলিশ প্রশাসন।নিজের সচেতনতার অভাব এবং ভুল বুঝতে পেরে ষ্টেশন থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পরে অবশ্য মাস্ক কিনে মুখে দিয়ে গন্তব্যে রওনা দেয়। এ যাত্রায় রেহাই মেলে শিক্ষকের।

এমন ঘটনা নিত্য নতুন নয়। ক্যানিং ষ্টেশনে সাধারণ যাত্রীরা মাস্ক মুখে দিয়ে ট্রেনে যাতায়াত করছেন। ষ্টেশন চত্বরে থার্মাল স্কিনিং ও চলছে। তা স্বত্বেও বেশ কিছু মানুষজন বেপরোয়া হয়ে করোনা কে উপেক্ষা করে মাস্ক ছাড়াই যাতায়ায় করছেন।আর এমন বেপরোয়া মানুষ কে আটকাতে সচেতন ভাবে দলগত হয়ে কাজ করে চলেছেন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন,জিআরপি এবং আরপিএফ।

মাস্ক হীন সাধারণ মানুষকে ক্যানিং ষ্টেশনে একে বারেই ঢুকতে দিচ্ছেন না।
করোনা তান্ডবে ক্যানিং ষ্টেশনের পুলিশ প্রশাসনের এমন সচেতনতার উদ্যোগে খুশি নিত্য রেলযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষজন।নিত্যযাত্রী বিশ্বজিৎ মিশ্র,বাপী পাত্র,মনোরঞ্জন সরদার’রা করোনা সচেতনতা নিয়ে ক্যানিং ষ্টেশনে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা কে ভূয়সী প্রশংসা করে জানায় “করোনা মহামারী ভাইরাস ঠেকাতে মাস্ক পরা বাধ্যতা মুলক নির্দেশ জারী করেছে দিল্লী সরকার। মাস্ক ছাড়া বাড়ির বাইরে পা রাখলেই ২০০০ টাকা জরিমানা চালু করেছে। এমন উদ্যোগ খুবই ভালো।

এখানে এমন নিয়ম জারী হলে বেপরোয়া ভাবে মাস্কহীন মানুষের আনাগোনা কমবে।সচেতনতা বাড়বে। ফলে মাস্ক ব্যবহার করতে বাধ্য হবেন সকলে। তাতে করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হবে।”