শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিয়েতে অতিরিক্ত পণ ও যৌতুক দিতে না পারায় গৃহবধুকে খুন

News Sundarban.com :
নভেম্বর ৯, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক:   অতিরিক্ত পণ ও যৌতুক দিতে না পারায় এক গৃহবধুকে খুন করার অভিযোগ উঠলো শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের বিরুদ্ধে।  মৃত গৃহবধুর  নাম মামনী সেখ নস্কর(১৯)। ঘটনাটি ঘটেছে বরিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার জীবনতলা থানার আঠারোবাঁকি গ্রাম পঞ্চায়েতের চরপাড়া এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ব্যপক ছড়িয়েছে। জীবনতলা থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছেন।গত প্রায় ৮ মাস আগে বাসন্তী থানার আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তীতকুমার গ্রামের মামনীর সাথে বিয়ে হয় জীবনতলা থানার আঠারোবাঁকি গ্রাম পঞ্চায়েতের চরপাড়ার হাসানুরজ্জামানের সাথে। অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই আরো যৌতুক এবং নগদ টাকার জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার চালাতো স্বামী হাসানুরজ্জামান ও তার পরিবারের সদস্যরা।মেয়ের উপর অত্যাচার যাতে না হয় তারজন্য গত কয়েক সপ্তাহ আগেই হাসানুরজ্জামান কে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও একটি বাইক কিনে দেন মামনীর বাপের বাড়ির লোকজন।তাতে করেও অত্যাচারের মাত্রা কমছিল না।

এদিকে মামনী অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ায় তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন চিন্তায় ছিলেন। রবিবার রাতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন অত্যধিক হারে মামনীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি শ্বাসরোধ করে ওই গৃহবধু কে খুন করে ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে দিয়ে বাড়ির সকলে পালিয়ে যায়।স্থানীয় লোকজন ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এবং গৃহবধুর বাপের বাড়িতে খবর দেয়।

এবিষয়ে গৃহবধুর বাবা আকবর সেখ তাঁর মেয়ের মৃত্যুর বিচার চেয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে জীবনতলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।আকবর বাবু বলেন “দাবী মতো পণের টাকা সবসময় দিতে না পারার জন্য আমার মেয়ে কে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে দিয়েছে ওর শ্বশুর বাড়ীর লোকজন। ”

গৃহবধুর বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে জীবনতলা থানার পুলিশ ঘটনার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।যদিও মামনীর স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক।