শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিমল গুরুং পাহাড়ে পা রাখবেন জেনেই আন্দোলনে নেমেছেন সেখানকার মানুষ

News Sundarban.com :
অক্টোবর ৩১, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক:  সম্প্রতি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি বিমল গুরুং কলকাতায় বসে ঘোষণা করেছেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিনি তৃণমূলের সঙ্গে থাকবেন।
সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, বিজেপি তথা এনডিএ-র সঙ্গে তিনি সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন।
তাঁর অভিযোগ, গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে বিজেপি ও এনডিএ মান্যতা দেয়নি।
এই ঘোষণায় জল্পনা চলেছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
অন্যদিকে বিমল গুরুংয়ের ঘোষণা, যে তিনি ফের পাহাড় ও ডুয়ার্সের মানুষের কাছে যাবেন এবং সেই মতো তিনি প্রস্তুতিও আরম্ভ করেছেন।
কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস বোধহয় একেই বলে! বিমল গুরুং পাহাড়ে পা রাখবেন জেনেই পথে আন্দোলনে নেমেছেন সেখানকার মানুষ।
২০০৮-২০০৯ সালে তৎকালীন জিএনএলএফ প্রধান সুভাষ ঘিসিংকে তিনিও পাহাড় থেকে বিতাড়িত করেন।

পরবর্তীকালে জীবিত অবস্থায় আর পাহাড়ে ফেরা হয়নি সুভাষ ঘিসিংয়ের। বলা ভালো, বিমল গুরুংয়ের বাহিনী ঢুকতে দেয়নি।
এরপর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে ।
কলকাতায় বিলাসবহুল হোটেলে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুংয়ের সাংবাদিক সম্মেলনের পর ফের উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে পাহাড়।
দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং এর বিভিন্ন জায়গায় বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত হচ্ছে, বিক্ষোভ-সমাবেশ সংগঠিত হচ্ছে।
বিমল গুরুং পাহাড়ে ফিরতে চাইলেও এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন সামনে দেখা দিয়েছে যে পাহাড়ের মানুষ কি বিমল গুরুংকে চাইছেন?

বিমল গুরুং ফিরে এলে তাকে কি পাহাড়ের মানুষ সাদরে গ্রহণ করবেন?
আগামী দিনে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের পাহাড়ে ফেরাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে কোনও রকম অবনতি না হয় তার জন্য উত্তরবঙ্গের পুলিশ প্রশাসনের স্তরে সব রকম কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
পাহাড়ে দার্জিলিং, কালিম্পং জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ ও অতিরিক্ত সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীকে সতর্ক রাখা হয়েছে বলে উত্তরবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে ।