বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ টি রাজ্যের শহরাঞ্চলে বেকারত্বের বৃদ্ধি পেয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে

News Sundarban.com :
অক্টোবর ২১, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক: গুজরাট, কেরল, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পাঞ্জাব এই ৬ টি রাজ্যের শহরাঞ্চলে বেকারত্বের বৃদ্ধি পেয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে।
গত অর্থ বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে ভারতের বেকারত্বের হার ছিল ৮.৪ শতাংশ । তা সত্ত্বেও এই ৬ রাজ্যের শহরাঞ্চলে বেকারত্ব বৃদ্ধি পেল উল্লেখযোগ্যভাবে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের দ্বিতীয়ত ত্রৈমাসিকে শ্রমিক সমীক্ষার রিপোর্ট এমনটাই প্রকাশিত হয়েছে। বলা হয়েছে শহরাঞ্চলে এই ৬ শহরে বেকারত্ব বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। তাদের মধ্যে বেশি বেড়েছে গুজরাটে। সেখানে ১.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।বর্তমানে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৩%। অর্থাৎ আগে ৩ শতাংশ ছিলই।

অন্ধ্রপ্রদেশে শহর অঞ্চলে বেকারত্বের হার ১ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। গত অর্থবছরে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে যুব সমাজের যাদের বয়স ১৫ থেকে ২৯ শহরাঞ্চলে তাদের বেকারত্বের হার ১ শতাংশ কমে গিয়ে ২০.৬ শতাংশ হয়েছিল। আরও ৯ টি রাজ্যের যুবসমাজের মধ্যে বেকারত্বের হার বেড়েছে। সেগুলি হল গুজরাট, পাঞ্জাব, ছত্রিশগড়, অন্ধপ্রদেশ, অসম, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ। অনেকে চাকরি খুইয়েছেন লকডাউনের জেরে। অনেককে আবার লকডাউনে অজুহাতে বের করে দেওয়া হয়েছে চাকরি থেকে। এভাবেই কাজ হারিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।

যদিও মোদি সরকার সেদিকে একটি কথাও না বলে উচ্চবাচ্য না করে একেবারে অন্য বিষয়ে তারা নজর দিচ্ছেন। কখনো চিন, কখনো বা দেশের নিরাপত্তা। কখনো করোনায় মানুষকে কিভাবে রাখতে হবে, থাকতে হবে, সেসব। এতেই ভয়ঙ্কর বেকারত্ব অভিশাপ হয়ে ক্রমশ ভারতবর্ষকে ঘিরে ধরছে। তার সমাধান সূত্র মোদির কোনও বক্তব্য বা মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তাতেই রাজনৈতিক তত্ত্ব বৃত্ত মহল শিক্ষিত সম্প্রদায় খানিকটা হতাশ। গত ৫ মে ভারতের বেকারত্বের হার ২৭.১ শতাংশ হয়েছিল। আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে কিছুটা অর্থনৈতিক কাজকর্ম বেড়েছে। ক্রমে তা গতি পাচ্ছে। ১৮ ই অক্টোবর চলতি বছরের সেই ২৭. ১ শতাংশ থেকে কমে ৭.৮ শতাংশ। সি এম আই এম ডি ও সিইও মহেশ ব্যাস জানিয়েছেন ২০১৯-২০ সালের দেশের কর্মসংস্থানের হার ছিল ৩৯.৪ শতাংশ। করোনা লকডাউননের জেরে হয়েছেন ২৭.২ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে তা বৃদ্ধি পেয়ে পেয়ে ৩৮% হয়েছে। অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে এই হার যথাক্রমে ৩৭.৬ শতাংশ। ৩৭.৫ শতাংশ এবং পরে ৩৭.৯ শতাংশ হয়েছে। অর্থাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিজের রাজ্যে পিছিয়ে পড়েছেন।