বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

খাঁচা বন্দি রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে ছেড়ে দেওয়া হল সুন্দরবনের জঙ্গলে

News Sundarban.com :
অক্টোবর ১১, ২০২০
news-image

বুধবার সন্ধ্যায় সুন্দরবনের কলস জঙ্গলে খাঁচায় বন্দী হওয়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার কে ছেড়ে দিল বন দফতরের বনকমীর্রা।মঙ্গলবার গভীর রাতে সুন্দরবনের আজমল মারি ১২ নম্বর জঙ্গলে বন দফতরের বনকমীর্রা তিনটি খাঁচা পেতে ছিল ছাগলের টোপ দিয়ে।আর সেই খাঁচায় বন্দী হয় পূর্ণ বয়স্ক রয়েল বেঙ্গল টাইগার।ফলে বাঘ ধরা পড়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল মৈপিঠের ৬ নম্বর বৈকন্ঠপুরের এলাকার মানুষজন।

রাতেই বনকমীর্রা বাঘটিকে ঝড়খালির ব্যাঘ্র পুনর্বাসন প্রকল্প নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা সারা দিন বাঘের শরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা চালায়।বাঘটি সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ থাকায় বুধবার সন্ধ্যায় সুন্দরনের কলস দ্বীপ সংলগ্ন জঙ্গলেই ছেড়ে দেয় বনকমীর্রা।গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যার পরই বৈকুন্ঠপুর ৬ নম্বর গ্রামের বাসিন্দা ভীম নায়েক ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ির সাংসারিক কাজকর্ম করছিল।সেই সময় ঠাকুরান নদীর শাখা ওরিয়েন নালা নদীর পাড় সংলগ্ন গৃহস্থের গোয়াল ঘরে গরু চিৎকার আর্তনাদ শুনতে পায়।তারপরেই বাঘের গর্জন শুনতে পায়।আর বাঘের গর্জন শুনে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।পরের দিন মঙ্গলবার দুপুরে বন দফতরের আধিকারিকরা,কর্মীরা বাজি পটকা পাঠিয়ে নদী থেকে বাঘকে জঙ্গলে পাঠিয়ে দেয়।কিন্তু রাতেই শিকারের নেশায় বাঘ আবার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে। বেগতিক বুঝে ছাগলের টোপ দিয়ে বনদফতরের খাঁচা পাতে।খাঁচায় বাঘ বন্দী হয় বাঘ।তবে এদিন বিকেলে বাঘের সঠিক অবস্থান জানতে বনদফতরের কর্তারা নদী ও জঙ্গলে ড্রোন উড়িয়ে তল্লাশি চালায়। এমনকি বাঘের পায়ের ছাপ পরীক্ষা করা হয়।এই নিয়ে গ্রামবাসীরা জানিয়েছিল, জঙ্গল থেকে আসা বাঘের পায়ের ছাপ মিললেও গ্রাম থেকে নদীখাঁড়ি পথ ধরে বেরিয়ে যাবার পায়ের ছাপ মেলেনি।এর জেরেই সন্ধ্যার পর থেকেই ঠাকুরান নদী সংলগ্ন আজমলমারি ১২ নম্বর জঙ্গলে খাচাঁ পাতার উদ্যোগ নেয় বন দফতের কর্মীরা।তারপর মঙ্গবার রাতেই সেই খাঁচাতে বন্দী হয়ে যায় সুন্দর বনের রাজা।নদী পথে ঝড়খালি রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় বাঘটি কে।সেখানে সারাদিন ধরে চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন।বাঘটি সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ থাকায় বুধবার সন্ধ্যায় বাঘটিকে লঞ্চে করে নদীপথে নিয়ে গিয়ে সুন্দরবনের কলস জঙ্গলে ছেড়ে দেয় বনকমীর্রা।