শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্বামীর শ্বশুড়বাড়ির সামনে ধর্না

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
news-image

প্রেমিক হোক বা প্রেমিকা একে অপরের সঙ্গে বিবাদ হলে বাড়ির সামনে ধর্নায় বসার ঘটনা নতুন নয়।
তবে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্বামীর শ্বশুড়বাড়ির সামনে ধর্নায় বসা এই প্রথম।
ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার বিরোহীপাড়ার।
স্ত্রীকে আটকে রাখার অভিযোগ তুলে শ্বশুরবাড়ির সামনে প্ল্যাকার্ড ও রেজিস্ট্রির নথি হাতে অনশনে বসেছেন স্বামী।
ওই যুবকের নাম বাবু মল্লিক(২৮)।
জানা গেছে, সোনাখালি গ্রামের বাসিন্দা সঙ্গীতা ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল বাবু মল্লিকের।

কিন্তু এই সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি ছিল না সঙ্গীতার পরিবার।
বাবু মল্লিকের কথায়, গত আগস্ট মাসে পরিবারকে না জানিয়েই রেজিস্ট্রি সেরে ফেলেন তাঁরা। মালাবদলও হয়। তবে সিঁদুরদান বাকি ছিল।
ভেবেছিলেন, পরে সকলে সবটা মেনে নেবেন। তারপর সামাজিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন তাঁরা। কিন্তু তেমনটা হয়নি।
কোনওভাবে সঙ্গীতার পরিবারের সদস্যরা রেজিস্ট্রির বিষয়টা জেনে যান। শুরু হয় সমস্যা।
বাবু মল্লিকের অভিযোগ, সেই থেকেই তাঁর স্ত্রীর উপর অত্যাচার শুরু করে পরিবার। গৃহবন্দি করে রাখা হয় সঙ্গীতাকে।

প্রথমদিকে লুকিয়ে বাবুকে ফোন করতেন ওই তরুণী। কিন্তু কয়েকদিন ধরে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় তাঁদের মাঝে।
এরই জেরে স্ত্রীকে ফিরে পেতে অনশনের পথ বেছে নেন বাবু।
সোমবার ভোরের ফুটতেই প্ল্যাকার্ড, বেশ কিছু ছবি ও রেজিস্ট্রির নথি নিয়ে সোনাখালি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে হাজির হন তিনি।
সেখানেই ধর্নায় বসেন ওই যুবক। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘আমার বউকে ফিরিয়ে দাও।’
তাঁর কথায়, আমার বউকে আটকে রেখে অত্যাচার করা হচ্ছে। ওকে ভুল বোঝানো হচ্ছে।
বাবু মল্লিকের দাবি, স্ত্রীকে না নিয়ে বাড়ি ফিরবেন না তিনি।
যদিও জামাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সঙ্গীতার পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা বলেন, মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল।
সেই কারণেই তাঁর মন ভাল করতে কিছুদিনের জন্য অন্যত্র পাঠানো হয়েছে। যদিও তাদের দাবি আদৌ কতটা সত্যি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, বিয়ের আইনি কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও কেন মেয়েকে আটকে রাখছে পরিবার?