ভাদু পূজোর গানে উঠে এল করোণা সচেতনতার বার্তা
মৌসুমী চ্যাটার্জী, বাঁকুড়া:
রাঢ় বাংলার অন্যতম লোক উৎসব হল ভাদু পূজো। সেই ভাদু পূজোর গানে উঠে এল করোণা সচেতনতার বার্তা। সাধারণ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও মেদিনীপুরের ভাদু পূজোর প্রচলন রয়েছে। এক সময় অবশ্য এই লোক উৎসবের প্রচলন ছিল খুব বেশি। প্রতিটি পাড়ায় বেশ জাঁক জমক করে হতো,তবে বর্তমানে অবশ্য হারিয়ে যেতে বসেছে এই প্রাচীন লোক উৎসব। সাধারণত, ভাদ্র মাসে ভাদুর মূর্তি বাড়িতে এনে সারা মাস ধরে ভাদুর পূজো, ভাদুর সামনে করা হয় বিভিন্ন লোকগান। এরপর ভাদ্র সংক্রান্তিতে অর্থাৎ ভাদ্র মাসের শেষ দিনে হয় ভাদুর জাগরণ। প্যান্ডেল করে সেখানে রাখা হয় ভাদুকে,দেওয়া হয় বিভিন্ন রকম প্রসাদ।
এরপর সেখানে মেয়েরা সেখানে সমবেত হয়ে সারারাত ধরে বিভিন্ন ধরণের গান, নাচ। সকালে স্থানীয় পুকুর বা নদীতে দেওয়া হয় ভাদুর বিসর্জন। ভাদুর গানের বিষয় গুলি হয় সাধারণত রামায়ণ বা মহাভারতের বিভিন্ন ঘটনাকে অবলম্বন করে। আবার স্থানীয় প্রচলিত রীতি বা স্থানীয় কোন বিষয়কে ছড়ার আকারে লিখেও ভাদুর গান তৈরী করে তা গাওয়া হয়। এই গানের মধ্যে যেমন বিভিন্ন শিক্ষনীয় বিষয় থাকে, তেমনি থাকে পুরান, মহাভারত আবার থাকে আমোদ প্রমোদের বিষয়ও। এবার বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের রামগড় গ্রামে ভাদুর গানে উঠে এল করোনা সচেতনতা। লক্ষীসাগর,সিমলাপাল, রামগড় পোড়াবাড়ি, পুখুরিয়া, খাতড়া,সারেঙ্গা,রাইপুরের বিভিন্ন এলাকায় এখনো প্রচলন রয়েছে হারিয়ে যেতে বসা এই প্রাচীন লোক রীতি।