শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তিন দিনের মাছ ধরা প্রতিযোগিতা

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক:  বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে গত মার্চ মাস থেকে দেশের সর্বত্র করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে।করোনা ভাইরাসের তান্ডব থেকে পরিত্রাণ পেতে মরিয়া দেশের সাধারণ মানুষজন। চলছে লকডাউন । সাধারণ কর্মজীবী মানুষজন কর্মসংস্থান হারিয়ে গৃহের মধ্যে আবদ্ধ। এমন কি একাকীত্ব ভাবে জীবন যাপন করতে হচ্ছে।সমস্ত রকম যানবাহন প্রায় বন্ধ বললেই চলে।তারপর একান্ত প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে পা রাখলে মুখে মাস্ক,হাতে গ্লাভস্,মাথায় টুপি পরে বের হতে হচ্ছে। কেউ কাউকে চিনতে পারছেন না। পাশাপাশি করোনার তান্ডবে মানুষ বিতৃষ্ণাজনক হয়ে গিয়েছে। একে অপরের আত্মীয়তা,বন্ধুত্ব ভুলে যেতে বসেছেন পারষ্পারিক দুরত্বের জন্য। এহেন পরিস্থিতে থেকে সাধারণ মানুষ যাতে করে সাময়িক ভাবে আনন্দে মেতে উঠে কিছুটা সময় অতিবাহিত করতে পারেন,তার জন্য তিন দিনের এক মাছ ধরা প্রতিযোগিতার আয়োজন করলেন ক্যানিং ৬ নম্বর দিঘী(পুকুর) কমিটি।গত মঙ্গলবার শুরু হয়েছে মাছ ধরার এই অভিনব প্রতিযোগিতা।

৬৫ সিটের প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ২০০ জন প্রতিযোগী মাছ ধরা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন।তিন দিনে এক এক প্রতিযোগী তিন কেজি চার কেজি ওজনের রুই,কাৎলা,মৃগেল মাছ ধরে প্রায় ১৫ হাজার টাকার মূল্যের মাছ ধরেছেন।
প্রতিযোগী শুভদ্বীপ মন্ডল,অমর আব্দুল্লা সেখ,মানস পুরকাইত,সমরেশ মাইতিরা জানিয়েছেন “করোনা আবহে একাকীত্ব মন আর বাড়ির মধ্যে আবধ্য থাকতে চাইছিল না।কর্মসংস্থান হারিয়ে বেকারত্বের জ্বালা যন্ত্রণায় ভুগছি।ভীষণ ভাবে একাকীত্ব লাগছে। অগত্যা মাছ ধরা প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করে মনটা একটু হালকা লাগছে।ক্যানিংয়ে তিন দিনে মাছ ধার প্রতিযোগিতায় চারজন বন্ধু মিলে ৬১০০ টাকার টাকা মূল্যের টিকিট কেটে ছিলাম। তারপর মাছ ধরার নানান উপকরণ সহ মোট খরচ প্রায় ১০ হাজার টাকা। তিন দিনে প্রায় সতেরো হাজার টাকার মাছ ধরতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। এই লকডাউনের বাজারে অনেকটা বিতৃষ্ণা মনোভাব কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি”।

এলাকার স্থানীয় যুবক ফারুক আমহেদ সরদার বলেন “বর্তমানে করোনা ভাইরাসের দাপটে জর্জরিত সাধারণ মানুষজন। পারষ্পারিক দুরত্বের জন্য ফুটবল,ভলিবল,ক্রিকেট,হা ডু ডু সহ সমস্ত ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধ।সাধারণ মানুষজন চরম হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সেই কঠিন পরিস্থিতিতে মাছ ধরা প্রতিযোগিতা সাধারণ মানুষকে অনেকখানি আনন্দ দিতে পেরেছে। পাশাপাশি তিন দিনের এই মাছ ধরা প্রতিযোগিতায় ২০০ জন প্রতিযোগী সহ হাজার হাজার স্থানীয় মানুষজন মাছ ধরা প্রতিযোগিতা দেখার জন্য জড়ো হয়ে আনন্দ উপভোগ করেছেন।করোনা আবহে কিছুটা হলেও সাধারণ মানুষ একটু আনন্দে মেতে উঠতে পারায় ভালো লাগছে”।