বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাসন্তীর রাস্তায় মাস্ক দাতা

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক:  করোনার দাপট রয়েছে অহরহ। সাধারণ মানুষজন রয়েছেন আতঙ্কে। এমতো অবস্থায় সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লক সহ অন্যান্য এলাকায় যান চলাচলা,বাজার-হাট,খেয়া পরিষেবা সহ সমস্ত কিছু প্রায় স্বাভাবিক।তবে সরকারী নির্দেশিকায় বাড়ির বাইরে পা বাড়ালেই যেখানে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতা মূলক। সেখানে সরকারী নির্দেশিকা অমান্য করে আজও মাস্কহীন মানুষের সংখ্যা যত্রতত্র নজরে পড়ে।এমন ভয়ানক পরিস্থিতি চলতে দেওয়া সম্ভব নয়।অগত্যা আম্ফান পরবর্তী সময়ে কোমর বেঁধে নির্বোধ মানুষজনদের কে সচেতন করতে মাঠে নেমে পড়েন সমাজসেবী তথা বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তাপস মন্ডল। তিনি হাট, বাজার,থানা,হাসপাতাল,খেয়াঘাট এমন কি পাড়ার অলিগলি চায়ের দোকানে মাস্কহীন মানুষ দেখতে পেলেই দৌড়ে সেখানে হাজীর হয়ে যান। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই পকেট থেকে মাস্ক বের করে মাস্কহীন মানুষের হাতে মাস্ক তুলে দিয়ে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতা মূলক এমনটাই সচেতন করছেন বাসন্তীর এই সমাজসেবী। শুধুমাত্র পাড়াগাঁয়ে মাস্ক বিতরণ করে হাল ছেড়ে দিয়েছেন তেমন টা নয়। প্রতিদিনই বাড়ির বাইরে পা বাড়ালেই সাধারণের জন্য তাপস বাবুর পকেটে দুএকশো মাস্ক থাকবেই। অটোচালক,ভ্যানচালক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ তাপস বাবু কে সামনে দেখতে পেলেই দৌড়ে গিয়ে মাস্ক চেয়ে নিচ্ছেন।

সমাজসেবী তথা বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তাপস মন্ডল রাজনৈতিক চরিত্র হিসাবে যত না বেশি পরিচিত ,তার থেকে সমগ্র বাসন্তী ব্লকের মানুষের কাছে হাটে বাজারে “মাস্ক দাদা” নামেই বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।শুধুমাত্র মাস্ক বিতরণ নয়।দুঃস্থ অসহায় মানুষ কে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে সাহায্য করা। অসহায় শিশুদের খাবারের ব্যবস্থা করা সহ নানান সমাজসেবা মুলক কাজ করে চলেছেন তাপস বাবু।
কেন এমন ভাবে পথে নামা?এমন প্রশ্নের জবাবে তাপস মন্ডল জানিয়েছেন “সকলের তরে সকলের আমরা।একদিন সাধারণ মানুষজন এবং অসহায় শিশুদের দুঃখ দুর্দশা দেখে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গিয়েছিল।তারপর চলছে করোনা আবহ। আমার মুখে মাস্ক আছে অপরের মুখে মাস্ক নেই। ভেবে খুব কষ্ট হয়। তারপর নিজেই একক ভাবে উদ্যোগ নিয়ে আম্ফান পরবর্তী সময় থেকে অসহায় দুঃস্থ সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সামান্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে চলেছি। আজীবন এমনটাই চালিয়ে যেতে চাই।”