শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জাপানে নতুন সংক্রমণ শনাক্ত করা হয় ২৫৬টি

News Sundarban.com :
আগস্ট ২৩, ২০২০
news-image

করোনাভাইরাস সংক্রমণ অব্যাহত থাকার মুখে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে নতুন করে বাড়তি চাপের মুখে ফেলছে জাপানের চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থাকে। টোকিওতে  শনিবার নতুন সংক্রমণ শনাক্ত করা হয় ২৫৬টি। শুক্রবার ২৫৮টি সংক্রমণের চেয়ে এই সংখ্যা সামান্য কম হলেও জাপানের রাজধানীতে এক সপ্তাহের গড় এখনো ২০০–এর অনেক ওপরে বিরাজমান।

জাপানে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে কি না, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে বিতর্ক অব্যাহত থাকার মুখে হঠাৎ করে চলে আসা গ্রীষ্মের অস্বাভাবিক গরম কীভাবে সামাল দেওয়া যায়, তা নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা আছে। বিশেষ করে করোনা সংক্রমণের কারণে মাস্ক পরে বাইরে যেতে হওয়ায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে তা আরও বিপর্যস্ত করে তুলছে।

জাপানের কিছু কিছু এলাকায় আজ দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে যায়। দেশের মধ্যাঞ্চলের শিজুওকা জেলার হামামাৎসু শহরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অগ্নি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সি বলছে, চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে এক সপ্তাহ সময়ে জাপান জুড়ে প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া ১২ হাজারের বেশি লোকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে টোকিওতে হিট স্ট্রোকে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। আগস্টে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা হচ্ছে ৭৯, যার প্রায় ৯০ শতাংশই বৃদ্ধ। গরমের কারণে মৃত্যুর এই হার এখন করোনার হামলায় মৃত্যুর সঙ্গে পাল্লা দিতে শুরু করেছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাপানে গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরম নিয়মিত হয়ে উঠলেও আবহাওয়া ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তত দুটি কারণে এবারের গরম আরও বেশি অসহনীয় হয়ে উঠেছে। প্রথমত, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশ কিছুটা দেরিতে এ বছর গ্রীষ্ম আসায় গরমের সঙ্গে ক্রমে মিলিয়ে চলার সময় মানুষ পেয়েছে কম। সাধারণত জুনে জাপানে বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ার পর ধীর তিতে গরম পড়তে শুরু করে। এ বছর বর্ষা প্রলম্বিত হওয়ায় গরমের আঁচ শুরুতে সেভাবে পাওয়া যায়নি। তবে জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে হঠাৎ করে গ্রীষ্মের দাবদাহ চলে এলে মানুষের স্বাভাবিক জীবন সহসাই বিঘ্নিত হতে শুরু করে।