বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নীলচে আলোয় উদ্ভাসিত সমুদ্রতট, এর ‘ডিজাইনার’ প্রকৃতি নিজেই

News Sundarban.com :
আগস্ট ২০, ২০২০
news-image

মনোমুগ্ধকর এক দৃশ্য। নীলচে আলোয় উদ্ভাসিত সমুদ্রতট। এর ‘ডিজাইনার’ প্রকৃতি নিজেই। ঘটনাটি আয়ারল্যান্ডের কাউন্টি কর্ক উপকূলীয় এলাকার দক্ষিণে ফাউন্টেইনসটাউন সৈকতে। চলতি সপ্তাহে এই সৈকত সেজেছিল নীলচে আলোয়।

ফাউন্টেইনসটাউন সৈকতের ওই নীলচে আলোর পেছ,নে ছিল একধরনের সামুদ্রিক প্লাঙ্কটন। ওশান রিসার্চ অ্যান্ড কনজারভেশন আয়ারল্যান্ডের তথ্যমতে, এককোষী ওই প্লাঙ্কটনগুলোকে বলা হয় ডাইনোফ্রাজেলেট। এগুলো সাগরের জোনাকপোকা নামে বহুল পরিচিত।বিশ্বের সব জায়গায়ই সাগরের এই জোনাকপোকাদের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে কিছু কিছু জায়গা এতটাই আদর্শ যে সেখানে কোটি কোটি ডাইনোফ্রাজেলেট জমা হয়। যখন প্রতি লিটার পানিতে এই প্লাঙ্কটনগুলোর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যায়, তখনই ফাউন্টেইনসটাউন সৈকতের মতো মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। গবেষকেরা জানিয়েছেন, মূলত রৌদ্রোজ্জ্বল দিনের শেষে এই প্লাঙ্কটনগুলো জোনাকপোকার মতো জ্বলে ওঠে। অনেকটা সৌরকোষের মতোই এরাও সারা দিন সূর্যের আলো থেকে চার্জ নেয়।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ওই প্লাঙ্কটনগুলোয় আলোর ওই বিচ্ছুরণ ঘটে খুব সাধারণ এক রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে। যখন এসব প্লাঙ্কটনের শরীরে উৎপাদিত লুসিফেরিন ও লুসিফেরাস এনজাইম অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসে, তখন শক্তি তৈরি হয়। এই শক্তিই আলো হিসেবে বিচ্ছুরিত হয়।

আয়ারল্যান্ডের ফাউন্টেইনসটাউন সৈকতে সেদিন দেখা গেছে নীলচে আলোর নাচন। এই আলোর নাচন দেখে স্থানীয় আলোকচিত্রী জোলিন ক্রোনিন বিবিসিকে বলেন, পুরো বিষয়টাই মনোমুগ্ধকর। সাগরজলে পা ডোবানোর সঙ্গে সঙ্গেই যেন পায়ের নিচে আলোর নাচন চলতে থাকে। ঘটনাটা আসলেই দারুণ!-বিবিসি