শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এক লিটার জলেতে ৩০ মাইলের বেশি পথ পাড়ি দেয়, আসছে মোটরসাইকেল

News Sundarban.com :
আগস্ট ২০, ২০২০
news-image

পৃথিবীজুড়ে পেট্রল-ডিজেলসহ খনিজ তেলের ভান্ডার ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে। চাহিদার সঙ্গে দিন দিন বেড়ে চলেছে পেট্রল-ডিজেলের দামও। এর থেকে মুক্তির পথ নিয়ে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। খুঁজছেন বিকল্প জ্বালানি। এমন পরিস্থিতে জ্বালানি ছাড়া মোটরসাইকেল তৈরি করছে জাপানের সুপরিচিত ব্র্যান্ড ইয়ামাহা। এই মোটরসাইকেলের জ্বালানি পেট্রল বা ডিজেল নয়, জলে। ভারতের বাজারে বাণিজ্যিকভাবে ছাড়া হবে পরিবেশবান্ধব এই মোটরসাইকেল।

সম্প্রতি সেই মোটরসাইকেলের একটি মডেল নকশার ছবি প্রকাশ করেছে ইয়ামাহা। এই টু হুইলারের নাম এক্স টি ৫০০ এইচটুজিরো। ম্যাক্সিম লেফেব্রে ইয়ামাহার সঙ্গে এই নতুন মোটরসাইকেল বাজারে আনতে যাচ্ছে। ২০১৬ সাল থেকে এই প্রজেক্ট নিয়ে কাজ চলছে। এই বাইকটি দেখতে অনেকটা সত্তরের দশকের এক্স টি ৫০০–এর মতো। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ মধ্যে এই মোটরবাইকটি পরিচিত হয়েছিল লাইওয়েট বাইক হিসেবে। ৪৯৯সিসির ওই ফোর স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিনের মোটরসাইকেলটি স্পিড ছিল ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার।

এক্স টি ৫০০ এইচটুজিরো এডিশনের বাইকটিতে থাকবে একটি জলের পাম্প। এই পাম্প জলকে চক্রাকারে ঘুরিয়ে ইঞ্জিনকে প্রোপালশন প্রদান করবে। জলচালিত মোটরবাইকের মাধ্যমে পরিবেশদূষণের আশঙ্কা থাকবে না। মোটরসাইকেলের মালিকের জ্বালানি নিয়ে কোনো চিন্তা থাকবে না। বাইকটির রক্ষণাবেক্ষণের খরচও জ্বলানিচালিত বা ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের তুলনায় খুব কমই হবে।

ব্রাজিলের এক ব্যক্তি জলচালিত একটি মোটরসাইকেল তৈরি করেছেন। রিকার্দো আজাভেদা নামের এই ব্যক্তির তৈরি করা মোটরবাইকটির জ্বালানি জল। সাধারণ খাওয়ার জলেতেই তিনি তাঁর বাইক চালিয়ে দেখিয়েছেন।

জলচালিত এই মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন দুটি অংশ নিয়ে গঠিত—ওয়াটার ট্যাংক এবং একটি ব্যাটারি। ব্যাটারির ইলেকট্রিসিটি জলের হাইড্রোজেন মলিকিউলগুলোকে বিশ্লিষ্ট করে দেয়। তারপর একটি পাইপ দিয়ে সেই হাইড্রোজেন প্রবাহিত হবে ইঞ্জিনে। এই হাইড্রোজেনই শক্তি উৎপাদন করে মোটরসাইকেলকে এগিয়ে নেয়। রিকার্দো আজাভেদার তৈরি করা মোটরসাইকেল এক লিটার জলেতে ৩০ মাইলের বেশি পথ পাড়ি দেয়।রিকার্দোর আজাভেদার তৈরি করা এই মোটরবাইকটি পরিবেশবান্ধব। কারণ এই বাইক থেকে কোনো রকম ধোঁয়া বের হবে না। ফলে পরিবেশবান্ধব ও সুরক্ষিত। – ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস ও ডেইলি মেইল