বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অনলাইনে ফ্যান্টাসি স্পোর্টস খেলার প্রতিষ্ঠান ড্রিম ইলেভেনই জিতেছে এ দৌড়

News Sundarban.com :
আগস্ট ১৮, ২০২০
news-image

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের টাইটেল স্পনসর নিয়ে বেশ আগ্রহ জেগেছিল। রাজনৈতিক কারণে ভিভো সরে যাওয়া, আইপিএলের আগে নিজেদের নাম বসাতে বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড আগ্রহ দেখিয়েছিল। বেশ কয়েকটি নাম এসেছিল। জিও, আমাজন, টাটা, ড্রিম ইলেভেন, আদানী গ্রুপ আগ্রহ দেখিয়েছিল। এমনকি বাবা রামদেবের পতঞ্জলি গ্রুপও নিজেদের ব্র্যান্ড ইমেজ উজ্জ্বল করতে আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনলাইনে ফ্যান্টাসি স্পোর্টস খেলার প্রতিষ্ঠান ড্রিম ইলেভেনই জিতেছে এ দৌড়।

আইপিএলের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল ক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন, ২২২ কোটি রুপিতে এ মৌসুমে আইপিএলের টাইটেল স্পনসর কিনে নিয়েছে ড্রিম ইলেভেন। ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আইপিএলের ব্র্যান্ড ইমেজ কাজে লাগাতে পারবে ড্রিম ইলেভেন। শুধু ২০২০ সালের জন্য টাইটেল স্পনসর বিক্রির কারণ হলো, আগামী মৌসুমে আবারও ভিভোকে পাওয়ার আশা রাখে আইপিএল। যদি ভিভো ফিরে নাও আসে, তবে অন্য কোনো ব্র্যান্ডের কাছে আরও চড়া মূল্যে বিক্রি করতে চায় আইপিএল। এবার করোনার কারণে এবং ভিভো চলে যাওয়াতেই টাইটেল স্পনসরের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি আয়ের উৎস অর্ধেক মূল্যেই ছেড়ে দিয়েছে আইপিএল।

২০১৭ সালে ২ হাজার ১৯৯ কোটি রুপির বিনিময়ে পাঁচ বছরের জন্য আইপিএলের টাইটেল স্পনসরের স্বত্ব কিনে নিয়েছিল ভিভো। অর্থাৎ বছরে ৪৪০ কোটি রুপি। কিন্তু ভারত-চীন সীমানায় সংঘর্ষের পর ভারত জুড়ে চীনা প্রতিষ্ঠান বর্জনের ডাক শুরু হয়েছিল। প্রথমে শতাধিক মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে মোবাইল সেট তৈরির এ প্রতিষ্ঠান এ বছরের জন্য আইপিএল থেকে সরে গেছে।

নতুন করে টাইটেল স্পনসর খোঁজার আগে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত দিয়েছিল বিসিসিআই। বছরে ৩০০ কোটি রুপির বেশি আয় করে এমন সব ব্র্যান্ডই শুধু টাইটেল স্পনসর হওয়ার জন্য আবেদন করতে পেরেছিল। শুধু উঁচু দর হাঁকিয়েই নিলামে বিজয়ী হতে পারেনি ড্রিম ইলেভেন। আইপিএলের ইমেজ রাইট কীভাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা তাদের এবং এর ফলে আইপিএলের ব্রান্ড ইমেজে কী ধরনের প্রভাব পড়বে—এমন সবকিছুই মাথায় রেখে ড্রিম ইলেভেনকে বেছে নিয়েছে আইপিএলের পরিচালনা পর্ষদ।

আইপিএলের টাইটেল স্পনসরের কাছ থেকে পাওয়া অর্থের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। কারণ এ থেকে পাওয়া অর্থের ৫০ শতাংশ আট ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ভাগ করে দেওয়া হয়। প্রতি বছর ২০ কোটি রুপির বেশি পেত দলগুলো। এবার সে অঙ্কটা কমে যাচ্ছে।