অবসরের ঘোষণার পরে ধোনি এবং রায়না একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন
সর্বকালের সেরা অধিনায়ক খ্যাত মাহেন্দ্র সিং ধোনি গত ১৫ আগস্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করেছেন। তার সঙ্গে অবসরে গেছেন সুরেশ রায়নাও। বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান রায়না সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ধোনিকে যে ১৫ আগস্ট অবসর নেবেন সেটা আগেই জানতেন। তিনিও তাই অবসর ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলেন।
রায়না বলেছেন, ‘আমি জানতাম, ধোনি চেন্নাই এসে তার অবসরের ঘোষণা দেবেন। আমিও তাই প্রস্তুত ছিলাম। ১৪ আগস্ট আমি, পিযূস চাওয়া, দিপক চাহার এবং করন শর্মা তাই চার্টাড বিমানে রাঁচি পৌঁছাই। সেখান থেকে মাহি ভাই ও মনু সিংহকে সঙ্গে নেয়।’
রায়না জানান, অবসরের ঘোষণার পরে ধোনি এবং রায়না একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন। এরপর পিযূস চাওলা, কেদার যাদব, করন শর্মা এবং আম্বাতি রাইডু একসঙ্গে বসেছিলেন। ক্যারিয়ারের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন তারা এবং রাত্রে একসঙ্গে পার্টি করেন।- দৈনিক জাগরণ
ধোনির পরে সুরেশ রায়না অবসরের ঘোষণা দেওয়ায় অনেকে মনে করেছিলেন আবেগতাড়িত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। পরে বিসিসিআই নিশ্চিত করে যে, রায়নার অবসরের সিদ্ধান্ত পূর্বপরিকল্পিত। রায়না বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেন, ‘আমরা আগেই ১৫ আগস্ট অবসর নেওয়ার জন্য মনস্থির করেছিলাম। ধোনির জার্সি নম্বর ৭ এবং আমার জার্সি নম্বর ৩। আমরা তাই দেশের স্বাধীনতার ৭৩ বছর পূর্তিতে অবসর নিতে চেয়েছিলাম।’
ধোনির সঙ্গে রায়নার সম্পর্ক অসাধারণ। সতীর্থ ছাড়িয়ে তারা একে অপরের খুবই কাছের বন্ধু। রায়না জানান, তাদের শুরুটা ছিল কাছাকাছি সময়ে। শেষটাও করলেন একসঙ্গে। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ধোনির, ২০০৫ সালে জুনে শ্রীলংকার বিপক্ষে অভিষেক হয় রায়নার। দু’জন একসঙ্গে আইপিএলে চেন্নাইয়ে খেলেছেন। এখন দু’জন আইপিএল খেলা চালিয়ে যাবেন বলে উল্লেখ করেন।