শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ক্যানিংয়ে করোনা সন্দেহে ১৭ ঘন্টা ঘরের মেঝেতে পড়ে রইলো মৃতদেহ

News Sundarban.com :
আগস্ট ১১, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক:  আশ্চর্য্য জনক ভাবে অমানবিকতা ঘটনা ঘটলো ক্যানিংয়ে। করোনা সন্দেহে ১৭ ঘন্টা ঘরের মেঝেতে পড়ে রইলো মৃতদেহ।দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও মৃতদেহ সৎকার করতে এগিয়ে আসেনি কেউ।পাশাপাশি মৃতের স্ত্রী,পুত্র কন্যা শোকে কান্নাকাটি করলেও মৃতদেহে ছুঁয়েও দেখেনি করোনা ভাইরাসের কারণে।অন্যদিকে করোনা সন্দেহে মৃতের পরিবারকে একঘরে করে দেয় গ্রামবাসীরা।মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জীব নস্কর নস্কর(৪৫)।সোমবার এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং থানার ইটখোলা গ্রামপঞ্চায়েতের গোলাবাড়ি বাজার সংলগ্ন গ্রামে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সঞ্জীব নস্কর,তার স্ত্রী সৌরভী নস্কর,তিন মেয়ে এক ছেলে ও মাকে নিয়ে তার পরিবার।সে কলকাতায় এক বেসরকারি সংস্থা সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতো। বেশ কিছু দিন ধরে টাইফয়েড ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল।বেশকিছুদিন কলকাতার মুকুন্দপুর এলাকার একটি নর্সিং হোমে চিকিৎসা চলছিল। একটু সুস্থবোধ করায় বাড়িতে ফিরে আসে। পাশাপাশি ক্যানিংয়ের এক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন।গত ৯ আগষ্ট ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ বাড়িতেই মারা যায় সঞ্জীব।আর এই মৃত্যুর চাউর হতেই গ্রামবাসীরা সন্দেহ করেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে।ফলে মৃত্যুর ১৭ ঘন্টা কেটে গেলেও সৎকারের জন্য পরিবার সহ প্রতিবেশীরা কেউ এগিয়ে আসেনি।

এদিকে এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ক্যানিং-১ বিডিও নিলাদ্রীশেখর দে,ক্যানিং থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারীক অমিত কুমার হাতি,ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান খতিব সরদার সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।তাঁরা গ্রামবাসীদের এবং মৃতের পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে দেহটি সৎকারের জন্য সব কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।সোমবার রাতে দেহটি গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হয় বারুইপুর কীর্তিনখোলা শশ্মানে।স্থানীয় ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক শ্যামল মন্ডল বলেন সঞ্জীব নস্কর নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।তবে করোনায় তার মৃত্যু হয়নি।গ্রামবাসীরা করোনা সন্দেহ করলে এমন ধরনের ঘটনা ঘটে।

তবে বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করে।দেহটি সৎকারের জন্য শশ্মানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।যেকোনো মৃত্যু দুঃখজনকও বেদনা দায়ক।তবে মৃতের পরিবারের পাশে সরকার আছে।যাতে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পায় সেটিও দেখা হচ্ছে।”