গাছ বাঁচাতে সুন্দরবনের রাজপথে প্রকৃতিপ্রেমী সমাজসেবী
সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং –
করোনা আর আম্ফানের দাপটে জর্জরিত সমগ্র দেশ তথা সুন্দরবনবাসী।চলছে লকডাউনও।এমনই মহামারী পরিস্থিতি তে দাঁড়িয়ে অধিকাংশ লোকজন কাজ হারিয়ে বাঁচার তাগিদে সরকারী রেশন কিংবা ত্রাণের উপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের দাপটে সমগ্র সুন্দরবনের গাছপালা ভেঙে তছনছ হয়ে গিয়েছে।পাশাপাশি স্বার্থের জন্য সাধারণ মানুষজন যত্রতত্র বৃক্ষনিধন,গাছের গায়ে পিরেক সেঁটে বিঞ্জাপনের দিয়ে সবুজ পরিবেশ কে কলুষিত করে ধ্বংস করে দিতে চাইছে। পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্য সুন্দরবনের।গাছ-ই প্রাণ,গাছ-ই জীবন।গাছেদের এই ক্ষতি ও বিশ্বউষ্ণায়ণের কথা মাথায় রেখে সুন্দরবনের বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা প্রকৃতিপ্রেমী ফারুক আহমেদ সরদার গাছ বাঁচাতে সুন্দরবনের রাজপথে নামলেন।
রবিবার সকাল থেকে সুন্দরবনের বাসন্তী,গোসাবা,ক্যানিংয়ের বিভিন্ন এলাকা রাস্তার পাশে থাকা গাছের গায়ে পিরেক সাঁটানো বিঞ্জাপন একের পর এক তুলে ফেলে গাছ কে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ নেন ফারুক।কেন এমন উদ্যোগ এ প্রসঙ্গে ফারুক বলেন “ গাছ শুধু রোপণ করলেই চলবে না। তাকে সঠিক ভাবে পরিচর্যা করা অত্যন্ত জরুরী। তাছাড়া সরকারি ভাবে রাস্তায় দুপাশে গাছ লাগানো হয়ে থাকে, কিন্তু বিদ্যুতের তার, জলের পাইপের লাইন কিংবা টেলিফোনের তারের জন্য যত্রতত্র গাছ গুলো বাড়তে না দিয়ে কেটে ফেলা হয় এবং তার পরিবর্তে কোনও গাছ লাগানো হয় না। এর ফলে যেমন ক্ষতি হচ্ছে জাতীয় সম্পদ পাশাপাশি অরণ্য ধ্বংস হচ্ছে। রাস্তা ক্ষয়ের পাশাপাশি পরিবেশ দূষিত ও হচ্ছে।ফলে প্রকৃতি তার ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। যার ফল অাম্ফান,ফণী, বুলবুল,আয়লার মতো সুপার সাইক্লোনের সম্মূখীন হতে হয়েছে।আর সেই কারণেই ক্ষতির সম্মূখীন সমগ্র মানবজাতি।”
রাস্তার পাশে গাছ থেকে পিরেক সাঁটানো বিঞ্জাপন খুলতে দেখে এই সমাজসেবীকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পথ চলিত সাধারণ মানুষজন।