বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রেখে নামখানা ব্লকের চন্দনপিড়িতে ত্রাণ দেওয়া হলো ১৪০ টি পরিবারকে

News Sundarban.com :
জুলাই ৩০, ২০২০
news-image

ঝোটন রয়, চন্দনপিড়ি

প্রত্যন্ত সুন্দরবনের নামখানা ব্লকের দক্ষিণ চন্দনপিড়িতে ত্রাণ পেল ১৪০টি পরিবার। দক্ষিণ চন্দনপিড়ি বিবেকানন্দ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ব্যবস্থাপনায় সুপার সাইক্লোন আমফান ঝরে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের হাতে ত্রাণ তুলে দিলেন ইস্টার্ন রেলওয়ে ভারত স্কাউট এন্ড গাইডস কাঁচরাপাড়া ডিস্ট্রিক এসোসিয়েশন। সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রেখে এবং মাক্স ব্যবহার করে এই ত্রাণকার্য অনুষ্ঠান চলে।

এদিন তাঁরা শিশুদের জন্য বই, খাতা, পেন্সিল সহ বেবী ফুড, বিস্কুট, এছাড়া মুড়ি, চিড়ে, চিনি, সরষের তেল, লবণ সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন ক্ষতিগ্রস্তদের। যার ফলে ত্রাণ পেয়ে খুশি আমফানের ক্ষতিগ্রস্তরা। নামখানা ব্লকের গ্রাম গুলিতে ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে বহু ঘরবাড়ি,গাছপালা ভেঙে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ের দাপটে ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎতের খুঁটি, ছিঁড়ে যায় বিদ্যুতের তার। এমনকি নদীবাঁধ ভেঙে নদীর নোনাজল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিঘের পর বিঘে চাষের জমি। ক্ষতি হয় মিষ্টি জলের পুকুরে মাছ চাষ এবং কাঁকড়া চাষের পুকুর গুলি।কপালে হাত কৃষক থেকে শুরু করে মৎস্যজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষগুলির।একদিকে সারা বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে। ভারতে দিনের পর দিন করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ফলে বহু মানুষজন কাজ হারিয়ে বাড়িতে বসে রয়েছেন। তারপর এই ঘূর্ণিঝড় আমফানের তান্ডবে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলগুলি। আর এমন ভয়ানক পরিস্থিতিতে ত্রাণ নিয়ে এগিয়ে আসেন  ইস্টার্ন রেলওয়ে ভারত স্কাউটস অ্যান্ড গাইড কাঁচরাপাড়া ডিস্ট্রিক অ্যাসোসিয়েশন।

এ বিষয়ে দক্ষিণ চন্দনপিড়ি বিবেকানন্দ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সেক্রেটারি তথা পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ শান্তনু বেরা বলেন, গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আমফানের তান্ডবে ব্যাপক ক্ষতি হয় সুন্দরবনের নামখানা ব্লকে।
আমাদের এই দক্ষিণ চন্দনপিড়ি বিবেকানন্দ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বিভিন্ন রকমের রিলিফ প্রোগ্রাম এবং মানুষের জীবন জীবিকা ভিত্তিক বিভিন্ন রকম কাজ করে থাকে। তাই আমাদের সকল সদস্যদেরকে ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাই, ইস্টার্ন রেলওয়ে ভারত স্কাউটস অ্যান্ড গাইড-এর সকল সদস্য ও সদস্যাদের। আগামী দিনে আমাদের উনাদেরকে আরো প্রয়োজন হবে। এখানকার মানুষ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। দিন আনে দিন খায় মানুষজন আজ ইনকামের কোন রাস্তা নাই। আগামী দিনে কি খেয়ে বাঁচবে তাই দিশাহীন হয়ে পড়ছে এখানকার সাধারণ মানুষরা।

এই প্রসঙ্গে ইস্টার্ন রেলওয়ে ভারত স্কাউট অ্যান্ড গাইড এর সদস্যা বর্ণালী গাঙ্গুলী বলেন, আমরা এখানে আসতে পেরে খুবই আনন্দিত। এই আমফান ঝরে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে আমরা যে খাদ্য সামগ্রিক তুলে দিতে পেরেছি তার জন্য ধন্যবাদ জানাই এখানকার বিবেকানন্দ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সকল সদস্যদের।