মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাঁকুড়া জেলাস্তরে সাংগঠনিক পদে ব্যাপক রদবদল

News Sundarban.com :
জুলাই ২৩, ২০২০
news-image

মৌসুমী চ্যাটার্জী, বাঁকুড়া: 

বাঁকুড়ায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ১২ আসন জয়লাভের লক্ষ্যে তৃনমূল কর্মকর্তা পদে ব্যাপক রদবদল করা হলো। ২০১৯ এর লোকসভাসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে। বিজেপি। আন্দোলনমুখী বাম কংগ্রেসও। এই অবস্থায় ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোতে চাইছে শাসক তৃণমূল। সেই লক্ষ্যেই জেলাস্তরে সাংগঠনিক পদে ব্যাপক রদবদল ঘটালেন তারা। দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই দলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো শুভাশীষ বটব্যালকে। আর তার স্থলাভিষিক্ত হলেন দলের বাঁকুড়া জেলা কার্যকরী সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা।

জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, জেলা সভাপতির পদ ‘হাতছাড়া’ হলেও শুভাশীষ বটব্যালকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলার তিনটি মহকুমায় এই প্রথম তিন জন দলীয় ‘পর্যবেক্ষক’ নিয়োগ করা হয়েছে। বাঁকুড়া মহকুমার দায়িত্বে সুব্রত দরিপা, বিষ্ণুপুরে ইন্দাসের বিধায়ক গুরুপদ মেটে ও খাতড়ায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্ম্মু। একই সঙ্গে দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক যুব তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে রাজীব ঘোষালকে সরিয়ে ঐ জায়গায় বড়জোড়ার তৃণমূল নেত্রী অর্চিতা বিদকে ঐ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

নবনিযুক্ত তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা আগামী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দলনেত্রীর হাতে জেলার ১২ টি আসনই তুলে দিতে বদ্ধপরিকর বলে জানান। একই সঙ্গে সংগঠনকে মজবুত করাই অন্যতম লক্ষ্য বলে জানান।

এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার বলেন, তৃণমূল ছন্নছাড়া। লোকসভা ভোটের পর তৃণমূল তিন তিন বার দলীয় পদাধিকারীদের পরিবর্তন করেছে। এসব করে বাঁচা যাবেনা বলে তিনি মনে কলেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃনমূলের পাঁচটি আসন বিরোধীদের দখলে চলে যায়।লোকসভা আসনের দুটিই দখল করে বিজেপি। সেই প্রেক্ষিতে এবারের বিধানসভা নির্বাচন তাদের কাছে মরন বাঁচনের লড়াই।