মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সরকারি হিসাবে ৭০ শতাংশের বেশি বেড খালি! বাড়ছে আরও হাজার

News Sundarban.com :
জুলাই ১১, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্কঃ  রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে।দু-এক দিনের মধ্যে তা ত্রিশ হাজার ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা।বর্তমানে প্রায় ৯ হাজার করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।এমত অবস্থায় রাজ্যে করোনা চিকিৎসার জন্য সরকারি্ বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে আরও এক হাজার বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।কিন্তু রাজ্য সরকারের সেই সিদ্ধান্ত সামনে আসার দিনেই বেডের অভাবে করোনা আক্রান্ত এক সদ্য যুবার মৃত্যু একাধিক প্রশ্ন তুলেছে। যেখানে রাজ্য সরকারের তরফে বারবার দাবি করা হচ্ছে তাদের হাতে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে বেড রয়েছে সেখানেে একধিক হাসপাতালে ঘুরেও কোভিড আক্রা্ন্ত ওই যুবক বেড পেলেন না কেন সেই প্রশ্ন উঠছে স্বাভাবিক ভাবে।

রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের শুক্রবারের বুলেটিন অনুসারে বর্তমানে সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে ৮০ টি কোভিড হাসপাতাল রয়েছে। যেখানে ভর্তি রয়েছেন ৮ হাজার ৮৮১ জন করোনা রোগী।স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসাবে মোট শয্যার মাত্র ২৭.০২ শতাংশে এখন রোগী ভর্তি আছে বাকি শয্যা খালি রয়েছে। তাহলে ইছাপুরের ওই যুবকের পরিজনদের বেড পেতে কেন এত হয়রানীর সম্মুখীন হতে হল এমনকি তার মাকে আত্মহত্যার হুমকি দিতে হল? সঙ্গত কারণেই এর কোন জবাব নেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে।

নিছক সমন্বয়ের অভাবই এর জন্য দায়ী নাকি রাজ্যের ওই সংংখ্যক কোভিড বেডের অস্তিত্ব শুধুমাত্র স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।ভুক্তোভোগীরা বলছেন, মেডিকেল কলেজের ওই ঘটনা কোন বিচ্ছিন্ন উদাহরণ নয়।কোভিডরোগীদের হাসপতালেভর্তি করাতে অধিকাংশ সময়েই কালঘাম ছুটছে তাদের পরিজনদের।একাধিক হাসপাতালে গিয়ে শুনতে হচ্ছে বেড নেই। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন শূন্য বেডের সংখ্যা প্রত্যেক হাসপালের বাইরে টাঙিয়ে দিতে হবে।কিন্তু কার্যত কোথাওই তা রূপায়িত হয়নি।