শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বহুতলেও করোনা রুখতে মাইক্রোপ্ল্যানিং চায় পুর নিগম

News Sundarban.com :
জুলাই ১০, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্কঃ  বস্তির তুলনায় এখন করোনা সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে শহরের বহুতল আবাসন। বাড়ির মালিক সম্মত হলে বস্তির পাশাপাশি মাইক্রো প্ল্যানিং পদ্ধতিতে শহরের আবাসনগুলিতেও করোনা নিয়ন্ত্রণে কলকাতা পুরনিগম কাজ করবে বলে পুরপ্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন। পুরভবনে আজ ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিকদের বলেন, শহরের বস্তিগুলিতে সংক্রমণ রোধে পুরনিগম অনেকটাই সফল। কিন্তু বড় আবাসনগুলিতে পুর স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রবেশ করতে না দেওয়ার জন্য সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে পুরনিগম কোনো কাজ করতে পারেনি। এক্ষেত্রে কোনো ফ্ল্যাটের মালিক পুরনিগমের সহায়তা চাইলে পুরস্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত গিয়ে বাসিন্দাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিতে পারবেন। অসুস্থ হলে পুরস্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য আসতে বলা হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মত হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন বা আর্সেনিক এলবাম থার্টি অসুস্থ ব্যক্তিকে দেওয়া যেতে পারে। বড় আবাসন বা বহুতলের বাসিন্দারা কোনোরকম সমস্যা হলে পুরনিগমকে জানালে, কলকাতা পুরনিগম তাদের সবরকম সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে ফিরহাদ হাকিম জানান। শহরের আবাসনগুলিতে ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণের প্রেক্ষিতে এই নিয়ে শহরের আবাসনগুলিতে লাগাতার প্রচার চালানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

ফিরহাদ হাকিম বলেন, শহরে হোম কোয়েরেন্টাইনে যারা আছেন তাদের বাড়িতে খাবার সহ প্রয়োজনীয় সব কিছু কলকাতা পুলিশ পৌঁছে দেবে। কন্টেনমেন্ট জোনে অন্য বাসিন্দাদের সাবধানতা অবলম্বন করে রাস্তায় বেরোনোর পরামর্শ দেন তিনি। নতুন করে লকডাউন নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকবার জন্য শহরবাসীকে পরামর্শ দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। বুধবার রাজ্য সরকারের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী কলকাতায় ২৫ টি কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে বলে ফিরহাদ হাকিম জানান।

কলকাতা বস্তি ফেডারেশন শহরের বস্তিগুলিতে করোনা সংক্রমণ রোধে এখানকার গরীব বাসিন্দাদের নিখরচায় লালারস পরীক্ষার জন্য প্রতিটি বোরোতে করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র করার দাবি জানিয়েছে। ফেডারেশনের সভাপতি আবু সুফিয়ান এই দাবির পাশাপাশি, শহরের বস্তিগুলিতে আরো বেশি নমুনা সংগ্রহের দাবি জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, কলকাতা পুরনিগমের পক্ষ থেকে নিয়মিত বস্তিবাসীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেওয়া, অসুস্থ ব্যক্তিদের উপর নজর রাখার দাবি করা হলেও, ধারাবাহিকভাবে সেই কাজ হচ্ছে না। এদিকে, বস্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কলকাতা পুরপ্রশাসকবোর্ডের সদস্য স্বপন সমাদ্দার জানিয়েছেন, বস্তিতে করোনা সংক্রমণ এড়াতে অনেক আগে থেকেই পুরনিগম ব্যবস্থা নিয়েছে। পুরস্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে নিয়মিত বস্তিবাসীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। করোনা সন্দেহভাজন ব্যক্তির লালারসের নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি অসুস্থদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে পুরনিগম। বস্তি নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। পুরনিগমের এই পদক্ষেপের জন্যই শহরের বস্তিগুলিতে বর্তমানে করোনা সংক্রমণ অনেক কম বলে স্বপনবাবু দাবি করেন।