বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কলকাতা ও শহরতলিতে কনটেনমেন্ট জোনে বন্ধের চেহাড়া,

News Sundarban.com :
জুলাই ১০, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্কঃ  বৃহস্পতিবার বিকালে থেকে বৃহত্তর কলকাতার একটা বড় অংশেই ফের শুরু হয়েছে লকডাউন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলাজুড়ে লকডাউন চলায় বৃহত্তর কলকাতার যে সব এলাকা এই জেলায় পড়ে সেখানে এখন পুরো বনধের চেহারা। স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর শহরতলির জনজীবন বেশ ভালই ধাক্কা খেয়েছে। তবে মূল কলকাতা ও দক্ষিন শহরতলির জনজীবন অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। চলেছে যানবাহনও।

লকডাউন শুরু হওয়ার আগে থেকেই ওই সব এলাকাকে লোহার রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। সব জায়গায় মোতায়েন রয়েছে স্থানীয় থানার পুলিশ। পেট্রোলিং ডিউটির মাধ্যমে পুরো এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সেই রেলিং টপকে ভিতরের কাউকে বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না আর বাইরের কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে কথায় বলে বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো। তাই এত কিছুর পরেও ওই সব এলাকায় বিনা মাস্কে ঘোরা মানুষ যেমন চোখে পড়েছে তেমনি ব্যারিকেড টপকে বা বাঁশের ঘেরাওয়ের ফাঁক দিয়ে গলে যাতায়াতের ছবিও ধরা পড়েছে কিছু কিছু এলাকায়।

এবারের লকডাউনে ওই সব এলাকার ওষুধের দোকান খোলা রাখার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও বাকি সব রকমের দোকান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে ওই এলাকায়। তবে পুরপ্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে লকডাউন চলাকালীন প্রতিদিন সকালে ‘সুফল বাংলা’র সবজি গাড়ি ওই কনটেনমেন্ট জোনের প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে যাবে। সেখান থেকে ন্যায্য মূল্যে সবজি পাবেন ওই সব এলাকার বাসিন্দারা। সেই সঙ্গে ওই সব এলাকায় একটি করে হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। যদি কারোর মুদিখানা বা অন্য কোনও দরকার পরে তাহলে সেই নম্বরে ফোন করলে লোক এসে প্রয়োজন মিটিয়ে দিয়ে যাবে। এক কথায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যাবে হোম ডেলিভারিতে। কোনও ভাবেই বাইরে যাওয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও সকাল থেকেও কলকাতার লকডাউন এলাকায় মাইকিং করে পুলিশ ওই ২৫টি কনটেনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের লকডাউন চলাকালীন কী করতে পারবেন আর কী করতে পারবেন না সেই সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করে দেয়। পাশাপাশি বিধিনিষেধ ভঙ্গ করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়ে দেয় পুলিশ। আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে লকডাউন এলাকার বাসিন্দাদের অফিস হাজিরা বাধ্যতামূলক নয়। তবে এই লকডাউনের জেরে উত্তর শহরতলির জনজীবন কার্যত থমকে গিয়েছে। বৃহত্তর কলকাতার মধ্যে থাকা ব্যারাকপুর, বিধাননগর ও বারাসত মহকুমার জনজীবন কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। বরানগর থেকে কাঁচড়াপাড়া আর দমদম থেকে বারাসত কার্যত বনধের চেহারা নিয়েছে। একই ছবি বিধাননগর ও রাজারহাটের ক্ষেত্রেও। ওই সব এলাকায় ওষুধ আর দুধের দোকান ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে। মূল কনটেনমেন্ট এলাকাগুলিতে বাঁশের ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। সবজি বাজার সকালে ছয়টা থেকে দুপুর ২টা অবধি খোলা থাকছে কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে থাকলে। লকডাউন মানাতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট ও বারাসত জেলা পুলিশ। রয়েছে কলকাতা পুলিশও। বরানগর থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত গোটা এলাকা জুড়ে পুলিশ কনটেনমেন্ট জোনের সব দোকান বন্ধ করে দিয়েছে।