বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘বন্য প্রাণীদের সুরক্ষা পদক্ষেপ না নিলে এমন রোগ বাড়তেই থাকবে’

News Sundarban.com :
জুলাই ৮, ২০২০
news-image

প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে যায়—এমন জুনোটিক রোগ বাড়ছে। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, বন্য প্রাণীদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ না নিলে ও পরিবেশ রক্ষা না করলে এমন রোগ বাড়তেই থাকবে। কোভিড–১৯-এর মতো রোগগুলোর প্রাদুর্ভাবের জন্য তাঁরা প্রাণিজ আমিষের অতি চাহিদা, ভঙ্গুর কৃষিচর্চা ও জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন।

বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুনোটিক রোগ অবহেলা করলে বছরে ২০ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে।শুধু কোভিড–১৯ নয় ইবোলা, ওয়েস্ট নাইল ও সার্সও প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে আসা জুনোটিক রোগ। এগুলো প্রথমে প্রাণীর শরীরে সংক্রমিত হয়। পরে সেখান থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

জাতিসংঘের এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম অ্যান্ড দ্য ইন্টারন্যাশনাল লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদন বলছে, প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে এসব রোগ এমনি এমনি আসেনি। প্রাকৃতিক পরিবেশের অপব্যবহার—যেমন ভূমির অবক্ষয়, বন্য প্রাণীর ক্ষতি করা, প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ ও জলবায়ু পরিবর্তন এসবের জন্য দায়ী।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও পরিবেশ কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ইনগার অ্যান্ডারসন বলেন, ‘গত শতাব্দীতে আমরা কমপক্ষে ছয়টি বড় রোগের প্রাদুর্ভাব দেখেছি।’ তিনি আরও বলেন, বিগত ২০ বছরে ও কোভিড–১৯ সংক্রমণের আগে প্রাণীবাহিত জুনোটিক রোগের কারণে ১০ হাজার কোটি ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।

ইনগার অ্যান্ডারসন বলেন, অঞ্চলভিত্তিক জুনোটিক রোগ (যেমন অ্যানথ্রাক্স, বোভিন টিবি ও র‌্যাবিস) অবহেলা করায় প্রতিবছর নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় ২০ লাখ মানুষ মারা যায়।

অ্যান্ডারসন আরও বলেন, আমিষ খাবারের জন্য প্রাণীদের ওপর বেশি নির্ভরতার কারণে জুনোটিক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। এ কারণে গত ৫০ বছরে মাংসের উৎপাদন ২৬০ ভাগ বেড়েছে।

ইনগার অ্যান্ডারসন বলেন, ‘আমরা আমাদের বনভূমি কৃষিকাজের জন্য ব্যবহার করেছি, বিভিন্ন অবকাঠামো স্থাপন করেছি। বাঁধ, সেচের কাজ, কারখানা, খামারের কাজে নিয়োজিত মানুষদের ২৫ ভাগ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত। ভ্রমণ, পরিবহন ও খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা সীমান্তের দূরত্ব দূর করে দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনও রোগ সংক্রমণের জন্য দায়ী।’