বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মন্তব্যের ঝড় বয়ে যাচ্ছে বলিউডের স্টারকিডদের নিয়ে

News Sundarban.com :
জুলাই ২, ২০২০
news-image

সুশান্তের মৃত্যুর পর,উঠে আসছে তারকাদের অবসাদের কথা। এবার অবসাদ নিয়ে মুখ খুললেন মনোজ বাজপেয়ি। পেশাগত কারণে মনোজ বাজপেয়িও আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন। অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন ছিল ছোট থেকে। ইচ্ছে ছিল ন্যাশানল ড্রামায় যোগ দেবেন। কিন্তু তিনবার সেই স্বপ্ন ভেঙে যায়। আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। কিন্তু ভেঙে না পড়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন। একসময় ঘরভাড়া দেওয়ার টাকা ছিল না। তবে মনোজ হার মানেননি। আজ তিনি বলিউডের এক সফল নায়ক।

বলিউডে ‘নেপোটিজম’, দলবাজি নতুন কোনো বিষয় নয়। বহু তারকাই বলিউডের এই ‘ট্রেন্ড’-এর শিকার হয়েছেন। কেউ এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, কেউ আবার চুপ থেকে গিয়েছেন। অনেকের ক্যারিয়ার যেমন বলিউড গড়েছে, তেমনই বলিউডের অন্দরে এমন কথাও প্রচলিত আছে যে, অনেকের ক্যারিয়ার শেষও করে দিয়েছে। যার নেপথ্যে রয়েছে এই নেপোটিজম বা স্বজনপোষণ এবং দলবাজি।

অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে নেপোটিজমের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি করে উঠেছে কারন জোহর, সালমান খানসহ আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ- তারা শুধু স্টার-কিডদেরই বেশি স্পেস দেন। ফ্লপ হলেও পরের ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান তারকা বাবা-মায়ের সন্তানরা। যদিও এ নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। তবে বলিউডে যার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ, তিনি হলেন কারন জোহর [কেজে]। অভিযোগ, অনেকের ক্যারিয়ার বরবাদ করে দিয়েছেন কেজে। তবে আজ থেকে নয়, অনেক আগে থেকেই কেজের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠছে।

‘নেপোটিজম’ বা স্বজনপোষণ নিয়ে এখনও উত্তাল ভারতের সামাজিক মাধ্যম, একের পর এক অভিযোগ চলছেই, বিরূপ মন্তব্যের ঝড় বয়ে যাচ্ছে বলিউডের স্টারকিডদের নিয়ে।সুশান্তের মৃত্যুর পরই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সুশান্ত সিং রাজপুতকে চেনেননি অভিনেত্রী সোনম কাপুর। এ অভিনেতার মৃত্যুর পর এ ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। তারকা পরিবারে জন্ম নেওয়ার কারণে মনের মধ্যে অহংবোধ জন্মিয়েছে বলে সোনমকে সমালোচকরা বিব্রত করেন। অনেকেই বলেন, বাবা অনিল কাপুরের কারণে ক্যারিয়ার গড়তে পেরেছেন সোনম। সামাজিক মাধ্যমে তাকে ব্যক্তিগতভাবে মেসেজ করে অশ্নীল ভাষায় আক্রমণ করেছেন বেশ কয়েকজন। যেখানে সোনমের মৃত্যুকামনা থেকে শুরু করে তার অনাগত সন্তানেরও মৃত্যুকামনা করা হয়েছে। এই মেসেজগুলোর বেশ কয়েকটি স্ট্ক্রিনশট শেয়ার করে সোনম তার পোস্টে লেখেন, ‘আমি আমার এবং বাবা-মায়ের কারণে কমেন্ট সেকশন বন্ধ করেছি। কারণ আমি চাই না আমার ৬৪ বছরের বাবা এসব খারাপ কথা শুনুক। এগুলো ওদের প্রাপ্য নয়। আমার অনাগত সন্তানের মৃত্যুকামনা করছে মানুষ, অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিচ্ছে, আজ আমরা এখানে আমাদের কর্মের জন্য। যারা ঘৃণা ছড়াচ্ছে, তারা আজ সে জায়গায় তাদের নিজেদের কর্মের জন্য। এসব করে নিজেদের জীবন নষ্ট করছেন আপনারা।’