মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি থেকে বাদ পড়ছে ফেয়ার

News Sundarban.com :
জুন ২৬, ২০২০
news-image

‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’ থেকে বাদ পড়ছে ‘ফেয়ার’। যার প্রতিবাদে এতো বড় সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল বহুজাতিক কম্পানি ইউনিলিভার তিনি কী বলছেন? সেই প্রতিবাদী নারীর নাম রিচা চাড্ডা, এমন সংবাদে  দারুণ খুশি তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। অবশেষে যেন তার ফল পেলেন।

‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’ থেকে বাদ পড়ছে ‘ফেয়ার’ খবরটি প্রকাশিত হতেই সেলিব্রেটি থেকে আম জনতাসকলের মুখে চওড়া হাসি। একুশ শতক যেন বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে নব জাগরণের মুখ হয়ে উঠতে চলেছে।

রিচারও কি তাই মত? ইনস্টাগ্রামের লম্বা পোস্টে অভিনেত্রীর দাবি, ‘অবশ্যই এটি একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। সংস্থা তাদের অতি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’র নাম বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১৫-য় একটি টি শার্টে দেখেছিলাম লেখা ছিল, ‘নট ফেয়ার বাট লাভলি’। সেটা সত্যি হলে কে না খুশি হয়?।’ রিচাও একসময় ব্র্যান্ডটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তার মত, মন থেকে বিশাল বোঝা যেন হাল্কা হয়ে গেল। আসলে, ছোট থেকেই সবাই সাদা-কালোর দ্বন্দ্ব নিয়ে বড় হন। তিনিও হয়েছেন। মেয়েবেলায় মনে হত, ‘ফর্সা হলেই সুন্দর হওয়া যায়। বড় হয়ে বুঝতে শিখেছেন, সৌন্দর্যের সংজ্ঞা আরো অন্য অনেক কিছু। শুধু ফর্সা হওয়া নয়।’

সেই সঙ্গে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউনিলিভারকেও। বলেছেন, ‘ব্র্যান্ডের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। বহু যুগ থেকে চলে আসা অতি জনপ্রিয় নাম বদলানোর জন্য মনের জোর এবং ইতিবাচক মন থাকা দরকার। বহু আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটাও এক ইতিহাস। আশা, এবার পাশ্চাত্যের প্রভাব ছাড়াই মানসিক দিক থেকে সাবালক হবে ভারত। সৌন্দর্যের সংজ্ঞাও বদলাবে।’

নামবদল কি বর্ণবিদ্বেষ মোছার পক্ষে যথেষ্ট? এই প্রশ্নের উত্তরও কি রয়েছে মডেল-অভিনেত্রীর কাছে?রিচা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছেন, ‘এই তো শুরু হল। আগামী দিনে আরো কত কী বদলে যাবে!’

ইউনিলিভারের তরফে এই ঘোষণা আসবার দিনকয়েক আগে অপর এক প্রসাধনী কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসন তাঁদের স্ক্রিন হোয়াইটনিং ক্রিম বা রঙ ফর্সা হওয়ার ক্রিম বিক্রি বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, সারা বিশ্বেই রঙ ফর্সাকারি ক্রিমের ব্যবহার রয়েছে, তবে দক্ষিন এশিয়ায় এর দেশগুলোতে এগুলির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। চীন, ভারতসহ এশিয়ার দেশগুলোর প্রায় ৪০ শতাংশ নারী এই ধরনের  তথাকথিত ‘ফেয়ারনেস ক্রিম’ ব্যবহার করেন। -আনন্দবাজার।