বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হল দরিদ্র মৎস্যজীবীর
সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং –
বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হল এক দরিদ্র মৎস্যজীবীর। মৃতের নাম গোষ্ঠ নাইয়া(৪০)। ঘটনা ঘটেছে শনিবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলি থানার প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার চিতুড়ি জঙ্গলে।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে ,bআম্ফান তান্ডবের জেরে গোষ্ঠ নাইয়ার বাড়িঘর ভেঙে তছনছ হয়ে গিয়েছিল।স্ত্রী ও তিন শিশু সন্তান নিয়ে অভাবের সংসার।লকডাউন আর আম্ফানের জোড়া তান্ডবে বিধ্বস্ত এই মৎস্যজীবীর পরিবার। একদিকে ভাঙা ঘর আর অন্যদিকে পেটের জ্বালা।অভাব অনটনের জন্য এবং ঘর মেরামতির জন্য সুন্দরবন জঙ্গলে যায় এই মৎস্যজীবী। পাশাপাশি জঙ্গল থেকে আম্ফান তান্ডবে ভেঙেপড়া গাছের খুঁটি নিয়ে এসে বাড়িঘর মেরামতির জন্য চিতুড়ি গ্রামের অপর দুই মৎস্যজীবী অশোক শিকারি ও হরিসাধন নাইয়া কে নিয়ে শনিবার সকালে সুন্দরবন জঙ্গলে যায় মাছ কাঁকড়া ধরতে ও কাঠ সংগ্রহ করার জন্য। এদিন সকালে সুন্দরবনের গভীরে মাতলা নদীর তীরবর্তী চিতুড়ি জঙ্গলে যখন তাঁরা মাছ কাঁকড়া ধরতে ব্যস্ত ঠিক তখনই সুন্দরবনের গভীর জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে এসে গোষ্ঠ নাইয়ার ঘাড়ে থাবা বসিয়ে টানতে টানতে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সঙ্গীকে বাঘে ধরেছে দেখতে পেয়ে অশোক শিকারি ও হরিসাধন নাইয়ারা কাঁকড়া ধরার শিক নিয়ে সঙ্গীকে উদ্ধারের জন্য বাঘের সাথে লড়াই করেন। বেগতিক বুঝে বাঘ তার শিকার ছেড়ে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে পালিয়ে গা ঢাকা দেয়।মুহূর্তে সঙ্গীকে উদ্ধার করে নৌকায় তুলে চিতুড়ি গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন অপর দুই মৎস্যজীবী।পথেই মৃত্যু এই দরিদ্র মৎস্যজীবীর। গ্রামের বাড়িতে মৃতদেহ পৌঁছালে কান্না ভেঙে পড়ে মৃতের স্ত্রী ও তিন শিশু সন্তান। কুলতলি থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।