ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে ত্রাণ তুলে দিলেন কান্ডারী
সুভাষ চন্দ্র দাশ ,ক্যানিং –
‘নির্বাচনের আগেই একাধিকবার খোঁজখবর নিতে আসতেন,সুপার সাইক্লোন আম্ফানের পর ত্রাণ তো দূরের কথা, মরলাম কি বাঁচলাম!এক বারের জন্য কেউ কোন খোঁজ খবর নিতে আসেনি!’ ঠাঁয় খোলা আকাশের নীচে রোদে দাঁড়িয়ে চোখের জল ফেলতে ফেলতে এমনটাই বলছিলেন বছর ষাটের এক বৃদ্ধা।
এমন মর্মান্তিক করুণ দুঃখ দুর্দশা প্রতিচ্ছবি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রত্যন্ত সুন্দরবনের নদী তীরবর্তী এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দাদের। সরকারী ভাবে প্রচুর পরিমাণ ত্রাণ পৌঁছালেও ত্রাণ পৌছায়নি প্রত্যন্ত অসহায় আম্ফান বিধ্বস্ত পরিবারগুলির কাছে।এমনটাই অভিযোগ আম্ফান বিধ্বস্ত কুলতলী থানার অন্তর্গত দেউলবাড়ী, কাঁটামারী, মইপিট,ভুবনেশ্বরী ও জামতলা সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের।আম্ফান সুপার সাইক্লোনে নদীবাঁধ ভেঙে সমস্ত মানুষ যখন দিশাহারা হয়ে খোলা আকাশের নীচে বাস করছেন তখন তাঁদের খোঁজখবর নিতে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে যায় একদা জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাঃ অশোক কান্ডারী,বিশিষ্ট সমাজসেবী মিলন মন্ডল,কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ গৌরাঙ্গ সরকার ,সমাজসেবী অজয় বায়েন খোকন বনিক , উত্তম হালদার, মাধবী মহলদার সহ এক প্রতিনিধি দল।তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। কোথাও কোথাও দুঃস্থ পরিবারের অসুস্থ ব্যাক্তিদের চিকিৎসাও করেন। পরে আম্ফান ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবার গুলোর হাতে ত্রিপল তুলেদিয়ে অভিযোগ করে বলেন “কেন্দ্রীয় সরকার দ্বরাজহস্তে আম্ফান বিধ্বস্তদের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করে অর্থ তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকারের হাতে। রাজ্য সরকার সেই অর্থে প্রকৃত আম্ফান বিধ্বস্ত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে না দিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে।ঝাড়াই বাছাই করে দলীয় কর্মী সমর্থকদের কে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।এমন জাতীয় বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে রাজনীতি করা উচিৎ নয়। কিন্তু রাজ্য সরকার বিধানসভা নির্বাচন কে সামনে রেখে নোংরা রাজনীতির খেলা শুরু করেছে।”
শুক্রবার জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রে বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রিপল তুলে দিয়ে ডাঃ অশোক কান্ডারী বলেন “সেই অর্থে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা ত্রাণ না পেয়ে বঞ্চিত রয়েছেন।যাতে করে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ত্রাণ পায় তার জন্য আমরা কোন রাজনৈতিক দলের রঙ না দেখে প্রকৃত সাইক্লোন বিধ্বস্ত পরিবারের হাতে ত্রাণ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”