আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবসে হাতে কোদাল নিয়ে সারাদিন চারাগাছ বসালেন বিধায়ক

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং –

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং-১ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় নিজেই হাতে কোদাল নিয়ে মাটি খুঁড়ে একের পর এক বিভিন্ন প্রজাতির চারাগাছ বসালেন প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ণ মন্ত্রী তথা ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক শ্যামল মন্ডল।প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে এবং একটি গাছ একটি প্রাণ বিষয়ে সাধারণ মানুষজন কে সচেতন করে তুলতে পরিবেশ দিবসে এমন উদ্যোগ।সারা বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে।ভারতে দিনের পর দিন করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে।তারপর গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা সুন্দরবন।ঘূর্ণিঝড়ে ১ লক্ষ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে গাছের ক্ষতি হয়।ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৬ লক্ষ গাছ।সুন্দরবনে সুন্দরী,কেওড়া, গরাণ,হোগল,গোলপাতা সহ বিভিন্ন প্রজাতির বহু ম্যানগ্রোভ গাছ ধ্বংস হয়ে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করছেন ১০ কোটি গাছ লাগানোর হবে।তারই আর্দশকে সামনে রেখে চারাগাছ রোপণ করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে বিধায়ক শ্যামল মন্ডল।শুক্রবার সকাল থেকে নিজেই কোদাল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন মাতলা অঞ্চলে বৃক্ষ রোপণ করতে।নিজেই কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে গর্ত করে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করেন। দুপুর ১২ টায় তৃণমূলের কার্য্যলয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন দলীয় কাজকর্ম নিয়ে।এরপর বিকাল ৩ টায় বিধায়ক শ্যামল মন্ডল ক্যানিং-১ বিডিও নিলাদ্রি শেখর দে,ক্যানিং মহকুমা ডেপুটি ম্যাজিসেট্রট অর্নব সাহা সহ বিভিন্ন দফতরের অফিসার সঙ্গে নিয়ে বৃক্ষ রোপণ করেন।বিধায়কের এমন ধরনের উদ্যোগ দেখে সাধারণ মানুষজন এগিয়ে আসে বৃক্ষ রোপণের কাজে।বিধায়ক শ্যামল মন্ডল বলেন ”ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের দাপটে বহু ঘরবাড়ি,গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশ্ব পরিবেশ দিবস।তাই নিজেই বৃক্ষ রোপণ করতে শুরু করলাম।একটি গাছ একটি প্রাণ।গাছ না থাকলে আমরা কেউ থাকবো না।থাকবে না সুস্থ পরিবেশও।