শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভারতে শুরু হয়েছে নতুর বিপদ

News Sundarban.com :
মে ২৬, ২০২০
news-image

করোনা সংক্রমণের মধ্যেই ভারতে শুরু হয়েছে নতুর বিপদ। পঙ্গপালের তাণ্ডবে একের পর এক ক্ষতি হচ্ছে ফসলি জমির। সব মিলিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক।

ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের তথ্য অনুযায়ী, এরই মধ্যে পঙ্গপালের দল হামলা চালিয়েছে জয়পুর, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে। এবার তাদের দৃষ্টি মহারাষ্ট্রের দিকে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই রাজ্যের বিদর্ভজেলা-সহ বাকি ৪টি জেলাতে হামলা চালাতে পারে পঙ্গপালের দল।

রাজ্যের যুগ্ম কৃষি কর্মকর্তা রবীন্দ্র ভোঁসলে জানান, মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলা থেকে এই রাজ্যে প্রবেশ করে পঙ্গপাল। এরপর তারা ওয়ারধা ও নাগপুরে প্রবেশ করে হামলা চালাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, কেন্দ্রের তরফ থেকে কীটনাশকের একটি দল বারংবার পতঙ্গের গতিবিধি সম্পর্কে তাদেরকে জানাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সেই তথ্য গ্রামের কৃষকদের কাছে পৌছে দিয়ে তাদের সতর্ক করার চেষ্টা করছি। ’ তিনি আরও বলেন, শুধু রবি শস্য নয়, সবধরণের ফসলের জন্য পঙ্গলপাল অত্যন্ত ক্ষতিকারক।

এদিকে পঙ্গপাল নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে জেলাগুলিতে। ক্ষেতে ও ফসলের মধ্যে রাসায়নিক স্প্রে করার জন্য একটি বিশেষ দলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অনেক সময় ক্ষেতে দাতবল বাসনের শব্দ করে পতঙ্গের দলকে তাড়ানোর চেষ্টা চলছে। আপাতত জেলা শাসকের তত্ত্বাবধানে জালালখেদায় রাস্তার ধারে রাসায়নিক স্প্রে করানো হচ্ছে। কারণ এই রাস্তার পাশেই নতুন আস্তানা তৈরি করেছে পঙ্গপাল।

রাজ্যের যুগ্ন কৃষি কর্মকর্তা রবীন্দ্র ভোঁসলে আরও বলেন, ‘একটাই স্বস্তি যে, এই পতঙ্গের দল রাতে কথনও ক্ষেতে হামলা চালায় না। দিনের বেলাতেই এরা হাওয়ার গতিবেগের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যায়।’

পঙ্গপালের দল উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ হয়ে মহারাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে। ছোট্ট পাখায় ভর করে সুদূর দেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেও ক্লান্ত নয় পঙ্গপালের দল।

এসব পঙ্গলপাল অনায়াসেই হামলা চালাতে পৌছে যাচ্ছে একের পর এক রাজ্যে। হাওয়ার অভিমুখে ক্ষতি করছে একের পর এক ফসলি জমি। ফলে ক্রমেই আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনাচ্ছে কৃষকদের মুখে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালেও একবার পঙ্গপালের দল ভারতে হানা দিয়েছিল। সেবারও কৃষকদের অনেক ফসল নষ্ট হয়েছিল। তবে জানা গেছে, এবারের দলটি গতবারের থেকে তিন গুণ বড়। তাই ক্ষতির আশঙ্কাও বেশি।